পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

€ళ9 a অধ্যাপক জলবায়ুতে যায় মলিন ও নিজীব হয়ে । সমস্ত সমাজ-জীবনের সঙ্গে বিদ্যার রয়েছে একটা অঙ্গাঙ্গিসম্বন্ধ, একটা নাড়ীগত যোগ । সে জিনিষটা সহজে ধরা পড়তে চায় না । সে দেশের পণ্ডিতের বিদ্যালোচনা করেন আপন আপন স্বতন্ত্র চেতনার স্ফর্ত্তিতে। তাদের বৈজ্ঞানিক বন্ধুর তেমন তাদের ঈর্ষ্যা করেন না যেমন করেন সহযোগিতা। সকলেরই উদ্দেশু বিদ্যার বৃদ্ধি, নিজের বৃদ্ধি তেমন নয় । নিজেকে করেন র্তারা গৌণ, বিদ্যাকে দেন তারা প্রধান স্থান । একটা বাগানে যেন দশজন মালী খাটছে । প্রত্যেক মালীরই কাজ যেন সে যা জানে তাই দিয়ে অপর মালীকে সাহায্য করা । বাগান উঠবে গড়ে, গাছেরা উঠবে বেডে, হবে ফুল ও ফল—এই হচ্ছে তাদের প্রধান উদ্দেশু । আমাদের দেশেও যখন স্থদিন ছিল সেদিন এমনিই নিঃস্বার্থভাবে লোকে আয়ত্ত করত সেকালের বিদ্যা । শাস্ত্রে বলেছে —‘ব্রাহ্মণেন নিষ্কারণো ষড়ঙ্গে বেদোহধ্যেতব্যঃ’, সকল ব্রাহ্মণেরই কর্ত্তব্য বিন কারণে নিঃস্বার্থভাবে ষড়ঙ্গ বেদ অধ্যয়ন কর । অবিনাশ বাবু যে এতদিন নিঃস্বার্থভাবে অধ্যয়ন করে এসেছেন সেখানে তিনি কোনও দৃষ্টান্ত পান নি, সহযাত্রী পান নি। এখানে এসে তিনি প্রত্যক্ষভাবে বুঝলেন, মূর্ত্তভাবে চোখের সামনে দেখলেন অধ্যাপকের কি কাজ । শুধু যে অধ্যাপকদের মধ্যে পেলেন সহযোগিতা তা নয়, দেখলেন বহু ছাত্র অধ্যাপকের সঙ্গে সহযোগিতা করে’ হাত ধরাধরি করে সরস্বতীর মহামূর্ত্তিকে ক্রমশঃ উচ্চ হতে উচ্চতর ভূমিতে নিয়ে যাচ্ছে । দেখে তার চিত্ত প্রসন্ন হ’ল । এতদিন তিনি যা কল্পনালোকে দেখতেন, আজ তা প্রত্যক্ষ করে তার চেতনা মুক্তিলাভ করল জড়ত। থেকে । তিনি সমগ্র ইউরোপ ও আমেরিকার নানা বিদ্যার পীঠস্থানে গিয়ে গিয়ে বিভিন্ন ল্যাবরেটরীতে বিভিন্ন বড় বড় অধ্যাপকের সঙ্গে