পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

එම්.8 অধ্যাপক ছিল না কোথাও পুতুলভাবে যদি না আমার ক্রিয়ার দ্বারা তৈরী করতুম। কিন্তু যে সমস্ত জাগতিক সম্বন্ধ বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার করেন বলে’ তোমরা বল সে সমস্ত সম্বন্ধ ত নিত্যসিদ্ধ হয়ে আছে । বৈজ্ঞানিক ত কোনও কাজ দিয়ে তা তৈরী করে তোলেন না ।” কানাই পড়ল অর্থই জলে । সে বল্লে—“তবে তিনি কি করেন ?" অধ্যাপক বল্লেন—“পুথিবী ছিল রাত্রির অন্ধকারে আবৃত হয়ে । ভোরবেলা স্বর্য্য উঠল আকাশে, প্রকাশ হ’ল পৃথিবীর রূপরাজি । আমার চোখ ছিল খোলা, আমি দেখলুম তা চোখ দিয়ে । আমি ত চোখ দিয়ে রূপরাজি তৈরী করি নি । সে রূপরাজি আমার চিত্তে প্রকাশ হওয়ার জন্য আমার কোন যত্বের অপেক্ষ রাখে নি ।” কানাই বল্লে—“তাও ত বটে। তবে কি হয় ?” অধ্যাপক বল্লেন—“কতগুলি সাধন একত্র সমবেত হ’লে, যা ছিল বাইরে তার প্রকাশ হয় চেতনার মধ্যে । চেতন সেই প্রকাশের কর্ত্ত নয়, সেই প্রকাশের ভূমি । Canvas-এর উপর ছবি অঁাকে চিত্রী, সেই canvas-এর উপর প্রকাশ হয় অসীম লাবণ্য নিয়ে চিত্রীর চিত্র । Canvas ত চিত্রী নয়, সে হ’ল চিত্রপট । তেমনি বৈজ্ঞানিকের চিত্ত হচ্ছে সেই ভূমি যেখানে প্রকাশ পায় জগতের কতগুলি ধর্ম্ম বা কতগুলি সম্বন্ধ, যার সে কর্ত্তাও নয়, স্রষ্টাও নয় ।” কানাই বল্লে—“মেনে নিলুম যে আপনিও হয়েছেন একটি সাধন । সেই হিসেবেই আপনাকে প্রণাম করি ।” অধ্যাপক বল্পেন—“তা হ’লে যাও ল্যাবরেটরীর মধ্যে, প্রত্যেকটি যন্ত্রের কাছে একবার করে মাথা ঠুকে এস। পার ত ফুলের অর্ঘ্য দাও, সিদুর পরিয়ে দাও।” “কিন্তু আপনি যে জীবিত ”