পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক \9כסי সেই যে মঞ্জরী একবার কথার ছলে বলেছিল সে গানবাজনা শিখবে, সেইটিই জেদ করে ধরল মুকুমার। মঞ্জরী অনেক করে’ বলেছিল যে এতে অনেক টাকা খরচ, সে বি-টি পড়বে, টিচার’ হবে, ইত্যাদি । কিন্তু এই সব দুর্ব্বল প্রতিবাদ স্বকুমারই সবলে আপনা থেকে দূর করেছিল, না মঞ্জরীর প্রতিবাদের ভঙ্গীতেই সুকুমার উত্তেজিত হয়ে তার প্রস্তাব দৃঢ় করেছিল তা মনস্তত্ত্ববিদেরাই বলতে পারেন । অবশু সুকুমারেরও এ বিষয়ে রুচি ছিল । যে দথলী স্বত্ব সে মনে মনে বিস্তার করত মঞ্জরীর উপর, তার জন্য টাকা খরচ করে সে সেটা নিজের কাছে চাইত প্রমাণ করতে ; গর্ব্ব ও গৌরব অমুভব করেছিল সে এইরকমভাবে মঞ্জরীকে সাহায্য করতে এবং তাকে সঙ্গীতবিদ্যায় পারদশিনী করে তুলতে । কোথাও কোন সম্বন্ধের বলে কেউ আশ্রয় পেতে যেমন আনন্দ বোধ করে, তার চেয়ে অনেক বেশী আনন্দ বোধ কবে কোনও সমর্থ ব্যক্তি কাউকে আশ্রয় দিতে । সুকুমারের জীবনে আর এ পর্য্যস্ত পূরে সাবালক হওয়া ঘটে ওঠে নি। আজ সে তার ধনের মালিক, চলেছে সে বিলেতে এবং ভরণ-পোষণ করছে তার বাগদত্তা পত্নীকে । সে আজ তাতে অনুভব করল পূর্ণ পুরুষত্বের মহিমা । মঞ্জরীর কণ্ঠে ছিল মিষ্ট স্বর, তার বুদ্ধি ছিল তীক্ষ্ণ এবং স্বর সম্বন্ধে তার কাণ ছিল খুব সজাগ। ভাল ভাল ওস্তাদ যখন লাগল তাকে শেখাতে, তার প্রতিভা স্পষ্ট হয়ে উঠল এই সঙ্গীতবিদ্যার মধ্যে। গানের একটা মোহিনী শক্তি আছে । যে গান করতে পারে, সমস্ত বড় উৎসবেই পড়ে তার ডাক । সঙ্গে সঙ্গে সে যদি সুন্দরী, বিদুষী ও বিদগ্ধা হয় তবে অল্প দিনের মধ্যেই সে পারে সকলের মন কেড়ে নিতে । লক্ষ্মেীয়ে সেজন্য মঞ্জরী দেবী হয়ে উঠলেন dominant figure of society অনেকেই তার সঙ্গে চাইত মিশতে, তার বাড়ীতে এসে