পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪০ অধ্যাপক চাইত তার সঙ্গে আলাপ করতে । কিন্তু মঞ্জরী বড় কাউকে আমল দিত না । এ বিষয়ে তার রুচি ছিল অত্যন্ত মার্জিত । সে ছিল selective, সে কেবল কৃপাদৃষ্টিতে দেখেছিল অজয়কে । অজয় লক্ষ্মেীয়ে বাঙ্গালীদের মধ্যে সব চেয়ে বড় ধনী । তার মামা তার জন্য সমস্ত সম্পত্তি রেখে কাশীবাসী হয়েছেন । তালুকদারের যত বাধা ঘর, সব তার হাতে ৷ লক্ষ্মীর অকস্মাৎ আগমনে অজয়ের ব্যারিষ্টারিতে পসারও খুব খুলেছে। তা ছাড়া সে একজন স্বাদেশিক ‘পলিটিসিয়ান', কারণ অর্থের ৰলে সমস্ত বিষয়েই ভোটগুলি ছিল তার করায়ত্ত । আজকালকার যুগে ভোটই হচ্ছে সর্ব্ব গুণের প্রমাণ । অমুকে বড় স্বাদেশিক কি না, নাও ভোট, অমুকে বড় কবি কি না, নাও ভোট, অমুকে বড় দার্শনিক কি না, নাও ভোট—সর্ব্বং ভোটময়ং জগৎ । মঞ্জরীর সঙ্গে অজয়ের ঘনিষ্ঠত চলল বেড়ে । লোকে একটু কৌতুকের কাণাকণি করত বটে, কিন্তু বেশী কিছু বলবার ছিল না, কারণ উভয়েই অবিবাহিত । মঞ্জরীর পূর্ব পরিচয় কেউ জানত না এবং সে যে কি স্থত্রে এমন বিলাসবাহুল্যের সঙ্গে সঙ্গীতচর্চার জন্য লক্ষেীয়ে বাস করছে সে কথাও কারুর জানা ছিল না । ঘটনাটার রহস্য ভেদ করবার জন্য সকলেরই মন কৌতুহলাক্রান্ত হয়ে গুঞ্জরণ করে ফিরত । মঞ্জরী নিজে ছিল এ বিষয়ে খুব চাপা । পিসীমাকেও সে শিখিয়ে দিয়েছিল দু’চারটি মামুলী রকমের গল্প। আর তা ছাড়া সেই অহিফেনপরায়ণ বুদ্ধার নিকট থেকে কারও কিছু খবর বের করা সহজ ছিল না এবং তিনি নিজেও ছিলেন টিলে রকমের লোক, সকল খবর তিনি জানতেনও না । মঞ্জরী মেয়েতে মেয়ে, পুরুষে পুরুষ, সেইজন্য তিনি সকল বিষয়ে তার শাসন মেনে চলতেন । এমনি করে অজয় আর মঞ্জরীতে মিলে স্বষ্টি করে চলল একটা নূতন পর্ব্ব,