পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক w8S নূতন অভিনয় । অজয় মঞ্জরীকে দিলে একখানা ভাল মোটর কিনে, প্রকাশ হল যে মঞ্জরীই কিনেছে গাড়ী । তারই নামে হ’ল মোটর কেনা, তারই নামে হ’ল রেজিষ্ট্রী । মঞ্জরী ইচ্ছা করলে যে কোনও দিনই অজয়কে বিয়ে করতে পারত, কিন্তু সে অপেক্ষা করতে লাগল স্বকুমার কেমন উৎরায় দেখবার জন্য । অজয়কে সে সুকুমারের কথা কিছুই বলে নি । অজয়ের চোখে মঞ্জরী অনাস্ত্রাতং পুষ্পং কিশলয়মলনং কররূহৈঃ’ । বিলেতে যাওয়ার পূর্ব পর্য্যন্ত প্রভার সঙ্গে সুকুমারের অনেকবার দেখা হয়েছে। প্রভাকে স্বকুমারের ভাল লেগেছে এবং স্নকুমার সে খুব ভাল মেয়ে বলে’ তার বন্ধুত্বকে আশীর্ব্বাদের মত গ্রহণ করেছে । সে মঞ্জরীকেও বলেছে যে প্রভার সঙ্গে তার পরিচয় ঘটেছে । কিন্তু প্রভা সম্বন্ধে মঞ্জরীর বিন্দুমাত্রও উৎকণ্ঠ ছিল না। তার নিশ্চিত বিশ্বাস ছিল যে প্রভার এমন কোনও শক্তি নেই, সামর্থ্য নেই যে সে স্বকুমারকে তার কাছ থেকে কেড়ে নেবে । তার চোখে সে কেবল একটা ক্যাবলা রকমের মেয়ে । কলকাতার প্রেসিডেন্সী জেলে স্থান হয়েছিল কানাইয়ের । কিছু দিনের মধ্যেই তার চরিত্রের গুণে কয়েদী, ওয়ার্ডার, জেলর প্রভৃতি সকলেই তার বন্ধু হয়ে উঠেছিল । তার স্বভাবই ছিল এই যে সে কোনও অবস্থাতেই ক্লেশ অনুভব করত না । শরীর সম্বন্ধে সে ছিল একরকম নিস্পৃহ । তাব দেহ তাকে কোনরকম কষ্ট দেয় নি, সেও দেহের জন্য কোন রকম উদ্বেগ বোধ করে নি । তার স্বভাবে আকৃষ্ট হয়ে অবসর সময়ে কয়েদীরা এসে বসত তার কাছে । সে তাদের বাড়ীঘর, ছেলেমেয়ে প্রভৃতির কথা জিজ্ঞাসা কবত, নানারকম গল্প আলোচনা করত, নানা কাহিনী বিবৃত করত, আর সেই সব গল্প