পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○8ど。 * অধ্যাপক করি, তখন সেটা আমাদের চোখে একটা অচল বস্তুর মত দেখায়। কিন্তু যে কোনও পদার্থেরই বর্তমান অবস্থাটাকে বিচ্ছিন্ন করে আনি আমরা আমাদের বর্তমান জ্ঞানের মধ্যে, তার পিছনে রয়েছে অনাদি ক্রিয়ার স্রোত। এই অনাদি অতীত-কালের স্রোতে একটা বিন্দুতে প্রকাশ হচ্ছে আমাদের বর্তমানকাল । কাজেই, বর্তমানকালে যাকে আমর পাচ্ছি সেটা উৎপন্ন হয়েছে অনাদিকালের ক্রিয়াপরম্পরার ফলে । আবার এই বর্ত্তমানকালে যাকে পাচ্ছি সে চলেছে সীমাহীন অনাগতের উদ্দেশে । কাজেই, প্রত্যেক পদার্থই ত্রিবিক্রম । ত্রিবিক্রমের একটি প। পাতালে, একটি পা পৃথিবীতে, আর একটি পা স্বৰ্গলোকে । বিষ্ণু অর্থ ব্যাপক । যা ব্যাপক তাই ত্রিবিক্রম অর্থাৎ প্রত্যেক পদার্থই অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্ণুৎকে ব্যাপ্ত করে’ রয়েছে । অতীতে রয়েছে তার অতীতের ইতিহাস, যার ফল পাওয়া যাচ্ছে বর্ত্তমানে । বর্ত্তমান বিন্দুকে অতিক্রম করে অতীতের ইতিহাস চলেছে অনাগতের দিকে, সেই অনাগতের রূপই হচ্ছে বর্তমানের উদ্দেশু । আমরা যখনই কোনও জিনিষ বুঝতে চাই তখনই তিনটি কথা আমাদের মনে হয়—কারণ, কার্য্য ও তার উদেশ্ব। প্রত্যেক পদার্থই ত্রিলোকী । তা ব্যাপ্ত করে রয়েছে এই তিন লোক—অতীত, বর্ত্তমান ও ভবিষ্যৎ । বর্তমান হচ্ছে অতীত ও ভবিষ্যতের মিলনলগ্ন ।” ডাক্তারবাবু বল্পেন—“কথাটা ভাল বুঝলুম না।” কানাই বল্লে—“ধরুন, এই রয়েছে একটা মুড়ি । এটা একটা পাথিৰ জিনিষ । এর উপাদান তখনও ছিল বর্ত্তমান যখন পৃথিবীর অস্তিত্ব ছিল সুর্য্যের বাম্পের মধ্যে । সেই উপাদান বেরিয়ে এল সেই মহাবাষ্পরাশি থেকে যার থেকে উৎপন্ন হয়েছে এই পৃথিবী । সেই বাপরাশি চলেছিল নিরস্তর নানা পরিবর্তনে, যে পরিবর্তনের ফলে