পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক లి((t আমাদের দেশে এসে বলবিক্রমের দ্বারা আমাদের পরাজিত করেছিল তাদের সেই বলের মধ্যে আমরা এমন কিছু অনুভব করি নি যার দ্বার। তার মধ্যে যে কোনও নিত্যতা বা অমৃতত্ব বা অক্ষয়ত আছে তা অনুভব করতে পারতুম । সে বল ছিল contingent, অর্থাৎ, এখন যে বল প্রকাশ পাচ্ছে, পর মুহূর্ত্তে সে বল প্রকাশ পেতে না পারে । কিন্তু ইউরোপীয়েরা যে বল নিয়ে আমাদের সামনে এল তার মধ্যে আমরা প্রত্যক্ষ করেছি বিদ্যার গাম্ভীর্য্য, বিদ্যার অক্ষয়ত্ব । সে বল একটা সাময়িক বল নয়, একটা আপেক্ষিক প্রকাশ নয়, সে বল উদ্ভূত হচ্ছে জড়ের বহুস্ত থেকে । সে রহস্য আমব, সে বিদ্যা । তাই সে হয়েছে কার্যকরী । সে বিদ্যা শুধু যে জডের মধ্যে আপনাকে প্রকাশ করেছে তা নয়, সে বিদ্যা ব্যাপ্ত করেছে ইউরোপীয়দের চরিত্র, তাদের রাষ্ট্র, তাদের সমাজ ।” ডাক্তার আবার বল্লেন—“আমাদের ধর্ম্মবুদ্ধিই বা প্রদীপ্ত হয়ে বিদ্যার তুল্য বলশালী হয় না কেন ?” কানাই বল্লে—“মুসলমানদের সঙ্গে সঙ্ঘর্ষে আমাদের ধর্ম্মকে আমরা সঙ্কুচিত করে ফেলেছিলাম শুধু পরস্পরকে কেমন করে পৃথক করে’ রাখব সেই জন্য । ধর্ম্মের যথার্থ স্থান নিয়েছিল আচার । ধর্ম্ম অর্থ ‘যা ধারণ করে । নব নব অবস্থার মধ্যে ধারণ করবার রূপ হবে পরিবর্জিত। এই জন্য ধর্ম্মের মধ্যে থাকা চাই জিজ্ঞাসা । এই জিজ্ঞাসা আপনাকে প্রকাশ করবে বিষ্ঠার মধ্য দিয়ে, তবে সে ধর্ম্ম হবে ওজস্বী। কোন সময়ে কি উপায়ে আমরা ধারণ করতে পারি আমাদের, সেটা বলে দিতে পারে বিদ্যা । এই জিজ্ঞাসা যখন বিলুপ্ত । হ’ল এবং বিচারের স্রোতকে আচার দিলে বন্ধ করে তখন একদিকে দাড়াল আচারের জটিল বন্ধন এবং আদশের উচ্চ অধ্যাত্ম কামনা