পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক פטאלא কানাই ছিল মঞ্জরীর প্রেমে মশগুল হয়ে । কিছু অধ্যাপকের প্রভাবে, কিছু অন্য প্রভাবে, দেশের নূতন হাওয়ার গুণে তার মধ্যে জেগে উঠল নূতন চিন্তাধারা, নুতন প্রেরণা । সেই প্রেরণায় যখন কানাইয়ের হৃদয়ের আগুন জ্বলে উঠেছিল এমনি একটি দিনে সে তার নূতন পরিচয় নিয়ে উপস্থিত হয়েছিল মঞ্জরীর কাছে । এই নূতন পরিচয়ের মধ্যে মঞ্জরী তার পুরাতন কানাইকে চিনতে পারে নি। এই নূতন পরিচয়ের খামখেয়ালী বন্যতায় ও ভাবভঙ্গীর উগ্রতায় মঞ্জরীর মন বিদ্বিষ্ট হয়ে উঠেছিল কানাইয়ের প্রতি । তাকে নিয়ে সে কি করবে এ বিষয়ে তার যতটুকু সন্দেহ ছিল সেটুকু ছিন্ন হয়ে গেল সেদিনকার কানাইকে দেখে । তার মনে আর এ বিষয়ে দ্বিধা রইল না যে কানাইকে ভর করে জীবনযাত্রা চালানো অসম্ভব, তাই সে কানাইয়ের চিন্তা দিলে একেবারে ছেডে। কিন্তু কানাই তার এই নূতন পরিচয়ের মধ্যেও মঞ্জরীকে ভোলে নি । সেখানে তার একটা আকর্ষণ ছিলই, কিন্তু তার নুতন আকর্ষণটা আচ্ছন্ন করে দিয়েছিল মঞ্জরীর প্রতি আকর্ষণকে । দ্বিধাগ্রস্ত হয়েছিল তার চিত্ত এই আশায় যে এই নূতন জীবনযাত্রার পথে এগিয়েও মঞ্জরীকে কোনরকমে পাশে পাওয়া যায় কি না । কল্পনার ছবিতে সে ভাবতে লাগল একটি দূর স্বপ্নের চিত্র যে সে চলেছে তার দূরারোহ পথের যাত্রায় আর মঞ্জরী তার পাশে দাড়িয়ে আঁচল দিয়ে তার ঘাম মুছিয়ে দিচ্ছে, কানাইয়ের গৌরবে তার মূখ হয়ে উঠেছে গর্ব্বে উদ্ভাসিত । কলকাতার সহরতলীর নিকটে একটা “ডিটেনশন ক্যাম্প'এ ছিল স্বজাত। ক্ষণে অক্ষণে কানাইয়ের বীর্য্যদীপ্ত মুখখানি ভেসে উত্ত তার মনে । হয় ত বা স্বপ্নে সে দেখত যে সে কোনও অরণ্যে পথ হারিয়ে ফেলেছে আর একটি তেজস্বী মূর্ত্তি দীর্ঘ বলিষ্ঠ দেহ নিয়ে এগিয়ে 는 ' #'