পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭২ অধ্যাপক কানাইয়ের সেখানে উপস্থিতির ও কাজের কল্পনার একটুমাত্রও যোগ আছে । দ্বাদশ পরিচ্ছেদ জেল থেকে ছাড়া পেয়ে কানাই এল অধ্যাপকের কাছে । অধ্যাপক তাকে কুশল প্রশ্ন করে জিজ্ঞাসা করলেন এর পর সে কি করতে চায় । সে বল্পে সে রসায়ন সম্বন্ধে কোনও কার্য্যকরী গবেষণা করতে চায় । অধ্যাপক স্নিগ্ধভাবে তার মাথায় হাত বুলিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন— “জীবনে কি কোনও গভীর দুঃখ পেয়েছ বাবা, যা নাড়া দিয়েছে তোমার অন্তরপুরুষকে ?” - কানাই বল্লে—“এ কথা আপনি কেন জিজ্ঞাসা করছেন ?” অধ্যাপক বল্পেন—“তোমার আচরণটা অনেকটা সেই রকমই দেখছি। একবার তুমি যোগ দিলে স্বাদেশিকতায়, ঝাপিয়ে পড়লে পুলিশের সঙ্গে লড়াইয়ে, খাটলে জেল । এখন আবার এসে উপস্থিত হয়েছ রসায়নের গবেষণা করবার জন্ত । এ থেকে দুটো সিদ্ধান্ত হয় । একটা হচ্ছে এই যে তুমি অত্যন্ত impulsive, যখন যা মনে আসে সেই কাজে লেগে যাও, কিছুদিন পরে ছেড়ে দাও সেই কাজটা । আর একটা সিদ্ধান্ত এই হ’তে পারে যে জীবনে এমন কোনও দুঃখ পেয়েছ যে জীবনের আর কোনও মূল্য নেই তোমার কাছে, জীবনটাকে নিয়ে তুমি যা খুসি করতে চাও। অনেক সময়ে অনেক ঔপন্যাসিক তাদের নায়কের এই রকম হতাশা বর্ণনা করতে গিয়ে হয় ত তাকে microscope cats' South Africato office cra I"—xco তিনি উঠলেন হেসে । - - -