পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক Hණුම් কানাই বিনীতভাবে বল্লে—“এ ছাড়া কি আর কিছু হতে পারে नां ?” - অধ্যাপক বল্পেন—“হয় ত হ’তে পারে । এমন হয় ত হ’তে পারে যে তোমার হৃদয়ের মধ্যে ছিল একটা প্রচ্ছন্ন আগুন, সে যখন তার আপন ঋতুতে হ’ল প্রকাশ তখন তুমি আপনিই পারলে না তাকে চিনতে । সে এল তার আত্মপ্রকাশের ব্যগ্রতা নিয়ে, কিন্তু সে তার পথ জানত না। ঝরণা যখন ঝরে পড়ে মাটিতে, সে থাকে নানা পথে একেবেঁকে চলতে । কোনও সময়ে থানায় পড়ে হয়ে যায় আবদ্ধ ; আরও যখন জল এসে জমে তখন সেই চাপে সে বের হয়ে পড়ে। তখনও সে ঘূর্ণি খেয়ে ফিরতে থাকে পথে বিপথে, অবশেষে হয় ত সেই ঘূর্ণির চক্রে সে এসে পড়ে ঠিক পথে নদীর বুকে । তেমনি হয় ত তোমার বুকের প্রচ্ছন্ন আবেগ আপনাকে নিফলভাবে প্রকাশ করতে চেয়েছিল স্বাদেশিকতার ঘূর্ণির মধ্যে। জেলে গিয়ে পেয়েছিলে আত্মচিন্তার অবকাশ, বুঝতে পেরেছ তোমার ভুল, তাই আজ নিতে চাও এমন একটি পথ যে পথে সফল করতে পারবে তোমার আত্ম প্রকাশের কামনা ।” - অধ্যাপক আবার জিজ্ঞাসা করলেন—“তুমি কি জীবনে কোনদিন স্নেহের প্রভাবে আস নি ? যে পথে তুমি আসতে চাও সে পথ কঠিন এবং বন্ধুর। কোনও বাইরের স্নেহ-পদার্থে সিক্ত যদি থাকে তোমার চিত্ত তা হ’লে তুমি অঁাকড়ে ধরতে পারবে না কোনও কঠিন কর্ত্তব্যকে, পিছলে যাবে তুমি তোমার পথ থেকে এবং হয় ত গিয়ে পড়বে সেই স্নেহ-সরণির মধ্যে। আমি চাই না যে একটার পর আর একটা কাজ নিয়ে তুমি জীবনকে করবে বিপর্য্যস্ত। পরিণামে দেখবে জীবনটা জুড়ে খালি দ্বন্দ্বই করে গেলে, ফল কিছুই পেলে না ।”