পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ob- о অধ্যাপক ও অশ্লিষ্ট । তখন প্রত্যেকটা কাজই আমাদের কাছে হয়ে ওঠে নিরর্থক । তাই মনে হয় প্রত্যেকটি কাজই যেন করছে আমাদের বঞ্চন। তার মৃত, জীবনের একযোগিতে তাদের প্রকাশ নেই।” স্বজাত আঁবার জিজ্ঞাসা করলে—“কই, এমন ত মনে হয় না যে সকলেই নিজেদের জীবনকে এমন অর্থহীন করে এবং নিজের আগুনে নিজে দগ্ধপ্রায় হয়ে ওঠে, দেখতে পায় নিজেদের নিরর্থকতা নিজেদের সমস্ত কাজের মধ্যে । বরং অধিকাংশ লোককেই ত দেখতে পাওয়া যায় যে তারা নিজ নিজ কাজে বেশ স্বর্থীই আছে । কোনও ব্যবসায়ী জীবন ভরে ধনসঞ্চয় করছে এবং তাতেই আপনার জীবনকে কৃতার্থ মনে করছে । কারুর আবার খ্যাতির উপর লোভ, সে খ্যাতিই সঞ্চয় করে চলেছে । কেউ বা আপন পরিবার গোষ্ঠী পালন করে সুখে জীবনপাত করছে । হৃদয়ের কোনও আর্ত্তিই ত তারা অনুভব করে না ।” অধ্যাপক বল্পেন—“তুমি যা বলেছ তা ঠিক । কিন্তু তুমি যদি চেয়ে দেখ নিম্নতর জীবদের প্রতি এবং তার সঙ্গে তুলনা কর একটা উচ্চতর জীবের, তা হ’লেই পার্থক্য বুঝতে পারবে। একটা আম গাছও জীব, কিন্তু তার একটা ডাল কেটে সেই কাটাস্থানে যদি সেই গাছের উপযোগী থাস্তপদার্থ সংযোগ করে দাও দেখবে কিছুদিন পরে সেখানে শিকড় গজিয়েছে। তারপর তাকে মাটিতে পুতে রাখ, সে দিব্যি একটি আম গাছ হয়ে উঠবে। এমন কি, এমন পাতাও অনেক আছে যার একটা টুকরো ছিড়ে মাটিতে ফেলে’ দিলে সেই পাতা থেকে একটা নূতন গাছ গজিয়ে উঠবে। কিন্তু একটা ছাগলের ঠ্যাং কেটে তাকে খুৰ জামপাত কলাপাত দিয়ে বেঁধে রাখলে সেই ঠ্যাং থেকে আর একটা ছাগল হবে না । তা হ’লেই দেখ, জীবপর্য্যায়ের মধ্যে একটা