পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক لاعرانيا প্রচণ্ড বৈষম্য আছে । কোনও কোনও উচ্চস্তরের জীবের মধ্যে অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলির পরস্পর অঙ্গাঙ্গিভাব এত প্রবল যে অন্য অঙ্গের সন্নিধি ব্যতিরিক্ত কোনও অঙ্গই তার কাজ করতে পারে না। আবার নিম্নস্তরের প্রাণীর মধ্যে দেখা যায় যে তারা সন্নিধিতেও কাজ করে, অসন্নিধিতেও কাজ করে । ‘স্পঞ্জ’ একটা প্রাণী, তা বহু জীবকোষের সমবায়ে উৎপন্ন হয় । কিন্তু এক টুকরো ‘স্পঞ্জকে আগুনে শুকিয়ে গুড়ো করে কাপড়ে ছেকে একেবারে ফাকিচূর্ণ করেও যদি সেখানে লবণাক্ত জল দেওয়া যায় তবে প্রত্যেকটা কণা থেকে এক একটি নূতন ‘স্পষ্ণু তৈরী হয়। এই সমস্ত নিম্নস্তরের প্রাণীর মধ্যে দেখা যায় যে তাদের প্রত্যেকটি জীবকোষের স্বাধীন ও স্বতন্ত্রভাবে কাজ করবার এবং সার্থকতা লাভ করবার ক্ষমতা আছে ।” সুজাতা জিজ্ঞাসা করলে—“এ কথার সঙ্গে আমার প্রশ্নের কি সম্বন্ধ বুঝতে পারলুম না।” অধ্যাপক বল্লেন—“সেই কথাই আমি বলতে যাচ্ছি । মানুষের মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে একটি অস্তলোক । সেই অন্তলোকের জীবনের মধ্যে একদিকে রয়েছে জৈব প্রবৃত্তি, একদিকে রয়েছে বুদ্ধিপ্রবৃত্তি বা মনোপ্রবৃত্তি, আর অপর দিকে রয়েছে অধ্যাত্ম-প্রবৃত্তি। এই তিনটির অঙ্গাঙ্গিসম্বন্ধে গঠিত হয়েছে, আমাদের অন্তলোক। কিন্তু সকলের মধ্যে এই তিনটির অঙ্গাদিসম্বন্ধ সম্পূর্ণভাবে জাগ্রত হয় নি, ; তাই এদের তিনটিকে নিয়ে যে একটি একযোগিতা হতে পারে এবং ' তিনটির সামঞ্জস্তে যে অন্তলোকের যথার্থ উদ্দেশ্য সার্থক হতে পারে ; সে বোধও জাগ্রত হয় নি। মনোলোক ও অধ্যাত্মলোকের সল্লিধি সত্ত্বেও অনেকের জীবনে শুধু জৈব প্রবৃত্তিগুলি অক্ষাঙ্গিভাবে তাদের একটা যৌথ স্বার্থসিদ্ধি সম্বন্ধে সচেতন থাকে এবং সেইভাবেই গড়ে