পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sb-8 অধ্যাপক এই অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিভাগের শ্রেষ্ঠ পরিণতিতে হয় মানুষ । মানুষের জৈব প্রক্রিয়ার মধ্যে কতগুলি কাজ চলে ঠিক ইতরপ্রাণীদের জৈব প্রক্রিয়ার মত। মানুষের দেহযন্ত্রের মধ্যে জীবনধারণের জন্য যে প্রক্রিয়াগুলি চলে সেগুলির উপর মানুষের বুদ্ধির বা ইচ্ছার কোনরকম হাত নেই। আমরা যে শ্বাসপ্রশ্বাস ফেলি, আমাদের হৃদয় যে ধুকধুক করে সমস্ত দেহকে আপ্লাবিত করে’ রক্তস্রোতে, আমাদের প্লীহা, বুক্ক, পাকাশয় যে তাদের কাজ করে যায়, সেজন্য তারা একটুমাত্রও অপেক্ষ রাখে না আমাদের বিবেচনাশক্তির বা ইচ্ছার । আমি বলতে পারি না—হে আমার পাকাশয়, আজ অনেক মাংস পোলাও থেয়েছি, সে জন্য আজ তুমি ভাল করে তাকে জীর্ণ কর। আমার হৃদয়কে আমি বলতে পারি না—আজকে রবিবার, তুমি একটু বিশ্রাম কর । গভীর দুঃখে আমার জৈবক্রিয়াকে আমি বলতে পারি না— হে জৈবক্রিয়া, তুমি আজ বিশ্রাম কর, আমি মৃত্যুতে প্রবেশ করি । আমাদের এই দেহের ভিতরকার জৈবক্রিয়া সম্বন্ধে আমরা সম্পূর্ণ পশুবৎ, সম্পূর্ণ অস্বতন্ত্র, সম্পূর্ণ পরাধীন কিন্তু মানুষের মস্তিষ্ক বলে একটা স্বতন্ত্র জিনিষ আছে যা পূর্ণ হয়ে আছে কোটি কোটি তন্তুজালে । তার ক্রিয় সম্বন্ধে আমরা সম্পূর্ণ পরাধীন। কিন্তু সেই নাড়ীতন্তুজালের সাহায্যে প্রদীপ্ত হয়ে উঠছে আমাদের বুদ্ধি ও আমাদের জৈব প্রবৃত্তি যখন দেহরক্ষার অনুকূলে বহিমুখে আপনাকে চালিত করতে চায় তখন তা বুদ্ধিলোকে প্রতিভাত হয় ইচ্ছা, তৃষ্ণ কি আকাঙ্ক্ষাতে । তাই বুজিলোকে ঘটতে পারে বুদ্ধির ও ইচ্ছার মধ্যে দ্বন্ধ । এইখানে আমরা যদি ইচ্ছাকে বুদ্ধির দ্বারা চালিত করে সংঘঞ্জিত করি তবেই ঘটে বুদ্ধি ও ইচ্ছার সামঞ্জস্ত এবং তাতেই অধিক পরিমাণে সম্ভাবনা ফুটে সেই ইচ্ছার পরিপূরণের সাফল্য। আবার তেমনি মানুষের মধ্যে g* ** * 2 * * یہ سمجمہ : ; .یہسہ r A مدفت* = x ی