পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক లిyసె লাগল নূতন নূতন উত্তেজনা, তখন অধ্যাপক ব্যানাজির নির্দেশ অনুসারে পাগল হয়ে থাট ে লাগল সুজাত । আসল উদ্দেশ্যের সাফল্য দূরে থাকলেও প্রত্যেকটি গবেষণা আনতে লাগল নূতন নূতন আবিষ্কার। সে আবিষ্কারেব উত্তেজনায় মুজাতার মন পূর্ণ হয়ে উঠতে লাগল কর্ম্মের উৎসাহে । এই কর্ম্মের মধ্যে পড়ে’ সুজাতা যেন বদ্ধ কারাগারের মধ্য থেকে মুক্তি পেল দিবাকরোম্ভাসিত মহাপ্রাস্তরের মধ্যে । দি মূঢ়তায় রেখেছিল তাকে আচ্ছন্ন করে । আজ সে পথ পেল নূতন কর্ম্মপ্রবাহের মধ্যে, সে বুঝতে পারল অধ্যাপকের উপদেশের সারবত্তা । যে সমস্ত তরুণ-তরুণীর হৃদয় থাকে অতিরিক্ত উৎসাহে পূর্ণ হয়ে, তাদের সে উৎসাহের বাষ্প নিরস্তর চাপ দিতে থাকে তাদের সমস্ত চিত্তভূমির উপরে । সেই চাপের ফলে তাদের মন চায় ছুটে যেতে কর্ম্মেব প্রবাহের মধ্যে, ব্যক্ত করতে চায় সেই উৎসাহের আবেগ কম্মের সাফল্যের মধ্যে, অথচ হয় ত তারা পায় না কোন কর্ম্মের উপায় । চারিদিকের পথ রুদ্ধ, যেন দামোদরের বন্যার জল আটকে রেখেছে বাধ দিয়ে । অন্তরপ্রবৃত্তির নিফল তাড়নায় সমস্ত হৃদয় ক্ষোভে পবিপূর্ণ হয় অথচ সে ক্ষোভের তার কোনও কারণ নির্ণয় করতে পারে না । ফলে কোনও কাজে তারা পায় না শাস্তি । একটা অব্যক্ত অনির্ব্বচনীয় দুঃখ ব্যাপ্ত করে তাদের সমস্ত হৃদয়, একটা আক্রন্দন উঠতে থাকে হৃদয়ের গহবর থেকে, পূর্ণ করে তোলে তার । আর্ত্তিতে, তার ব্যথার নিপীড়নে সমস্ত চেতনালোকের আকাশ, অথচ কোনও বাহিক কারণ খুজে পাওয়া যায় না। সাংসারিক । ভাবের বাহ দৃষ্টিতে হয় ত তার কোনই অভাব নেই, কোনই দুঃখের কারণ নেই, তথাপি যেন হৃন্মর্শ্বের মধ্যে অনুভব করে সে একটা ক্ষত,