পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ৩৯৭ মানুষের মনে যে যৌবনধর্ম্মী আকর্ষণ আছে তা কারুর মধ্যে প্রকাশ পায় নিছক দেহের দিক থেকে, নিছক সর্ব্বপ্রাণিসাধারণ দৈহিক প্রবৃত্তি থেকে । কিন্তু কারুর কারুর মন থাকে উচু তারে বাধা । উচু দিক থেকে আকর্ষণ না এলে নীচু দিক থেকে তার কোনও সাড আসে না । আবার উচু দিক থেকে একবার সাডা এলে, শ্রদ্ধায় চিত্ত বিনম্ৰ হ’লে, নীচুদিকের আকর্ষণটাও সেখানে গিয়ে জমা হয় এবং পাথিব প্রবৃত্তির শক্তির দ্বাবা অপার্থিব প্রেরণাকে নূতন রসে সঞ্জীবিত । করে তোলে । এই সব স্থলে শ্রদ্ধার সঙ্গে কামনা যুক্ত হয়ে যে প্রেম গড়ে তোলে সে প্রেম স্বাদে ও আকর্ষণে অধিকার করে জীবনের কেন্দ্রস্থল । কামনার উপভোগের কোনও অবসর না ঘটলেও, কামনগর ছায়ায় মস্বণ ও কোমল হয় শ্রদ্ধা । হয়ত বা সেখানে কামনা আপন । রূপকে পরিত্যাগ করে' শ্রদ্ধাব রূপের মধ্যে আপনাকে দেয় বিলীন করে’, শ্রদ্ধা হয়ে ওঠে রসাল গভীর অমুরাগে । রাগ তার আপন উপরঞ্জকতার ছোপে রাঙিয়ে দেয় তার শ্রদ্ধাকে, ব্যক্ত করে আপনাকে প্রেমের স্বাদের মধ্যে । সেই মাধুয্যের অমুভবে চিত্ত হয় রসধারায় স্নাত । সুজাতা যখন দেখেছিল কানাইকে প্রথম, তার বুদ্ধি ও বল তাকে করেছিল বিস্মিত, তার মনের নিভীকতা তার চিত্তের মধ্যে একটা সাড়া তুলেছিল। তারপরে সে যখন শুনলে যে আপনভোলা হয়ে কানাই দেশের উপকারের কাজে গেলে গিয়েছে, সেই শ্রদ্ধা তখন ক্রমশঃ ঘনীভূত হতে লাগল। যখন মুজাতার জন্য কানাই পুলিশের সঙ্গে দ্বন্দ্ব বাধিয়ে জেলে গেল তখন সেই শ্রদ্ধা তার হৃদয়কে পূর্ণ করে তুলল । হৃদয়ের কোন অজ্ঞাত লোক থেকে আর একটি অজ্ঞাত রসধারা সেই শ্রদ্ধার পরিপূর্ণ পাঞ্জটিকে মাধুর্য্যরসে পূর্ণ করে তুলল। প্রভার