পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক భీసిఫి. পেল তার পুরাণে স্বচ্ছন্দত ও মুক্ততা, যে পরিচয়ে সে সকল সময়ে বেড়িয়েছে এবং মিশেছে সে সকল সময়ে মুকুমারের সঙ্গে। তবু একথা বলা চলে না যে অস্তরের অন্তরালে যে একবার জেগেছিল, আজ অৰ্দ্ধস্থপ্তপ্রায় হ’লেও সেটি গেছে বিনষ্ট হয়ে । যা একবার জাগ্রত হয় তা সহজে বিনষ্ট হয় না, সে থাকে আধনুমন্তভাবে যেন কিছুর অপেক্ষায়, যেন একটু নাড়া পেলেই উঠতে পারে জেগে । ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ কানাইয়ের সঙ্গে মঞ্জরীর দেখা হয়েছিল তার জীবনের প্রথম যৌবনে । সে সাড়। দিয়েছিল তার বিমূঢ় চেতনাকে, জাগ্রত করেছিল তার মধ্যের তরুণ পুরুষকে । কিন্তু যে প্রেমকে অবলম্বন করে’ অন্তশ্চেতনার সমস্ত শুভ প্রবৃত্তি উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠতে পারে, যে প্রেম তার নিঝরিণীর ধারা দিয়ে ধৌত ও উন্মুক্ত করে দিতে পারে পুরুষের অন্তলোকের সমস্ত বীর্য্য ও মহত্ত্বের দ্বার, পবিত্র করে দিতে পারে হৃদয়-মন্দিরের অঙ্গন ভূমি, রসসিক্ত করে তুলতে পারে জীবন-তরুর মূল থেকে পত্র পর্য্যন্ত, সজাগ করে দিতে পারে সমস্ত মানুষটিকে, মঞ্জরীর প্রেমে সে নাড়া দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না । মঞ্জরীর সংস্পর্শে এসে কানাইয়ের হৃদয়ের তারুণ্যের দিকটি সচ্ছল হয়ে উঠে ছিল, কিন্তু সে প্রেমে সে এমন কিছু পায় নি যা তার বহুমুখী প্রবৃত্তির মধ্যে এনে দিতে পারত একটি আশ্রয়, সামনে এনে দিতে পারত একটি ভেলা, যে ভেলাকে আশ্রয় করে’ সে ভাসান দিতে পারত জীবনসমুদ্রের জোয়ারে—যত দূরে যেখানেই সে যাক না কেন, সে ভেলা থাকত তার চির-আশ্রয় হয়ে । সেইজন্য যখন নানা দিকের