পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8०२ অধ্যাপক ঘটেছে বা ঘটতে পারে। স্ত্রী চরিত্র সম্বন্ধে সে ছিল সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ । মেয়েরা যে কথন ই! বলতে না বলে বা না বলতে ইা বলে সে সম্বন্ধে তার কিছুই ছিল না জানা । মুজাতার যতটুকু ইতিহাস তার জানা ছিল তাতে তার প্রতি উদ্রিক্ত হয়েছিল তার একটা গভীর শ্রদ্ধা । তার মনে হয়েছিল যে সে সেই শ্রেণীর মেয়ে যে দিতে পারে সঙ্গ কিন্তু হ’তে পারে না সঙ্গিনী । দেখাশুনায় যতটুকু কথাবার্ত্তা হয়েছে তাতে তার মনে হয়েছে যে এটি একটি ধ্রুবতারা, এ আবর্তন করবে না কারও পিছুতে কিন্তু পৃথিবী নিরস্তর আবর্তন করছে এর চারিপাশে । এ এক মুষ্টি পাবার মত নয় যা আস্কুলের ফাক দিয়ে যায় পালিয়ে, কিন্তু এ হাত-ভরা রৌদ্রের মত থাকে হাতে—পাওয়া যায় কিন্তু ধরা যায় না । তার চোখে ছিল একটা উজ্জ্বল শাস্তি, বুদ্ধির ছিল আনন্দ, কিন্তু তাকে আত্মীয় করে পুটলিতে বধবার যেন কোনও উপায় নেই। কোনও বিলাসদ্রমের চপলতায় সে আপনাকে করত না প্রতিবিম্বিত, চাটুবাক্যের জাল পেতে পারা যেত না তাকে ধরতে। রৌদ্রের মত সে আসত দূর লোক থেকে ধেয়ে, ব্যাপ্ত হয়ে পড়ত শস্যশ্যামল ধরাতলের উপরে, কিন্তু কখনও যেন বিস্তৃত হ’ত না যে তার যথার্থ স্থান সবিতৃমণ্ডলের মধ্যবর্ত্তী বিন্দুতে । পৃথিবীর হয়েও সে পৃথিবীর নয় । তার প্রতি কানাইয়ের মনে ষে শ্রদ্ধা উদ্রিক্ত হ’ত তাকে হয় ত বা পূজারই ছায়া বলা যেতে পারত। সুজাতা যেমন মনে করত যে কানাই তার সঙ্গে বেশী করে মিশতে চায় না, কানাইও তেমনি মনে করত যে স্বজাতাই বুঝি তাকে আমল দিতে চায় না । এমন একটা সময় আছে যখন হয় ত মেয়ের ঝরে পড়তে পারে শিউলি বা বকুল ফুলের মত, কিন্তু তার পূর্ব্বে হয় ত এমনও একটা সময় থাকে যখন দুরারোহ ডালে আরোহণ করে তাকে