পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 অধ্যাপক কানাই জিজ্ঞাসা করলে সুজাতাকে—“আপনি ?” সুজাতা বললে—“আমার কোন ক্ষুধা নেই।” কানাই বললে—“আমারও তাই ।” মুজাতা বললে—“তা কি হয় ?” এই কথা বলেই স্বজাত উঠুল তার আসন থেকে । কানাইয়ের ইচ্ছা যে তাকে ধরে বসায় কিন্তু সে একটি কথাও বলতে পারল না । কিছুক্ষণ পরে স্বজাত সঙ্গে যে খাবার এনেছিল তা পরিবেশন করে আনল একটি প্লেটে, সম্মুখস্থ টেবিলে রাখলে সেই খাবার ও জল এবং কাছে এসে এমন স্নিগ্ধভাবে তাকে ভোজন করতে অনুরোধ করলে যে তার কথায় বাধা দিতে তার সামর্থ্য হ’ল না ; তার যেন মনে হ’ল যে তার আজ্ঞা প্রতিপালন করা ছাড়া তার আর কিছু করণীয় নেই । নারীর স্নেহের কাছে পুরুষ স্বভাবতঃই হয়ে আসে শিশুর মত । নারীর মধ্যে রয়েছেন চিরন্তনী জননী, তিনি যখন করেন আত্মপ্রকাশ, বিশ্বের নরশক্তির তাগুব যায় থেমে, মানুষ শিশুর ন্যায় পালন করে তার আজ্ঞা । আবার দু’জনে বসল পাশাপাশি । জ্যোৎস্নায় তখন প্লাবন দিয়েছে সমস্ত নদীর বক্ষের উপর । ছোট ছোট ঢেউ ঝিকমিক্‌ করে’ সপিল হয়ে ছুটে চলেছে কুলের দিকে ৷ পানী ও শেওলা কোন বিল থেকে এসে ভেসে চলেছে নদীর বুক দিয়ে । কত জায়গায় ছোট ছোট খালের মধ্য দিয়ে জলের স্রোত বয়ে গিয়েছে ক্ষেতের মধ্য দিয়ে কদলী-নারিকেল-কুঞ্জ-বেষ্টিত পল্পীভবনের দিকে । তটবর্তী গুবাক-নারিকেলের পত্ররাজি বাতাসে আন্দোলিত হচ্ছে । ঝরে* পড়ছে যেন তাদের পত্রগুলির মধ্য দিয়ে রূপালি জ্যোৎস্নার ধারা । জেলেরা বেরিয়েছে তাদের মাছের নৌকা নিয়ে, ঢেউয়ের সঙ্গে দোল খেয়ে ফিরছে তাদের লঘুভার নৌকাগুলো। এখানে সেখানে সার্চ