পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 8२१ কানাই বললে—“আমার জবাব ত আপনাকে দিয়েছি। যার যেমন চাওয়া তেমনি তার পাওয়া । যে বাধতে চায় নীড় তার নীড় বাধাতেই আনন্দ, সেই পাওয়াকেই সে চেনে । যে খাল বয়ে যায় গ্রামের মধ্য দিয়ে তরুণীরা স্নান করে তার ঘাটে বসে কলসী ভাসিয়ে দিয়ে, বৃদ্ধারা করে তটে বসে গল্প, ছেলের খেলে তার পারে ঘুটিং, ব্রাহ্মণ করে তার জলে স্নানাহিক, তরুণের কাটে সাতার, বকুল ফুল ঝরে পড়ে তার পারে, বৃদ্ধ বট ফেলে তার ছায়া, আমের গাছে ধরে রসাল ফল, নারিকেলের কুঞ্জ দোলায় সেখানে তার শাখা, সেই ভোগেই থালের জলের আনন্দ, কিন্তু পদ্মার জল ছোটে তার বিপুল জলরাশি নিয়ে কল কল বাহিনী হয়ে, তার ভোগ হচ্ছে সমুদ্রের দিকে ছুটে যাওয়া।" সুজাতা আবার বললে—“কিন্তু দুটো চাওয়াই তে উকি দিতে পারে কারুর হৃদয় মধ্যে ?” কানাই বললে—“সেখানেই আসতে পারে বিপদ ও বিফলতার পরিহাস ।” সুজাতা বললে—“সেখানে কর্ত্তব্য কি ?” কানাই বললে—“তখনই তার চাওয়া হবে সার্থক যখন সে তার ছোট চাওয়াটাকে মিলিয়ে দিতে পারবে তার বড় চাওয়ার মধ্যে । জোয়ারের জলে পূর্ণ হয়ে ওঠে বটে খাল, কিন্তু ভাটা এসে নিঃশেষ করে দেয় তার জল বিশাল নদীর গর্ভে। এমনি করে নিঃশেষ করে’ দিতে পারে বলেই খাল পূর্ণ করতে পারে তার বড় চাওয়াটাকে । আমাদের ছোট ছোট স্বথ, ছোট ছোট আকাথা ঝকমক করে ওঠে তাদের নানা রঙে, কিন্তু তারা তাদের পূর্ণতা পায় যখন তারা মিলে যায় রবির কিরণের মধ্যে । তেমনি আমাদের ছোট ছোট খালকে মিশিয়ে