পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্দশ পরিচ্ছেদ স্বজাত বরিশাল থেকে চলে এসেছে । তারপর অনেকদিন কেটেছে। সুজাতা তার গবেষণার কাজে নিযুক্ত আছে বটে, কিন্তু আর একটা বড় দায়িত্ব পড়েছে তার ঘাড়ে । সে কাজটি বিদ্যামন্দিরের আভ্যস্তরিক পরিচালনা । সে কায়েমী করে গেড়েছে তার অফিস অধ্যাপকের অফিস-ঘরের মধ্যে এবং বিদ্যামন্দিরের ভিতরকার সমস্ত কাজের ভার আপনার উপর নিয়ে অধ্যাপককে রেহাই দিয়েছে এবং তাকে তার নিজের কাজে নিমগ্ন হওয়ার অবসর দিয়েছে । সর্ব্বদ তার তীক্ষ দৃষ্টি থাকে অধ্যাপকের যত্বের যাতে কোনও ক্রটি না হয়। র্তার পিছনে দিয়েছে স্বতন্ত্রভাবে লোক নিযুক্ত করে এবং তাদের প্রত্যেকের কাজ সে নিজে পর্যবেক্ষণ করে। কি রান্না হবে, কেমনভাবে রান্না হবে, এ সমস্ত বিষয় সে নিজেই দেখে এবং প্রতিবার খাওয়ার সময় নিজে বসে’ থেকে খাওয়ায় । বিশ্রামের যাতে কোনও বিঘ্ন না হয় এ বিষয়ে তার দৃষ্টি অতি সজাগ। তারপর অনেক সময় সে গিয়ে অধ্যাপকের সঙ্গে নানা বিষয়ে আলাপ আলোচনা করে, নানা উপদেশ গ্রহণ করে ও আপন স্নেহে তার বাৰ্দ্ধক্যের অনাদৃত পটভূমিকা উজ্জ্বল করে দেয় । তা ছাড়া সমস্ত আয়ব্যয়ের হিসাব সে রাখে, সমস্ত বিদ্যামন্দির যাতে পরিষ্কৃত পরিচ্ছন্ন থাকে, গ্রন্থগুলি যাতে সর্ব্বদ। স্বপরিষ্কৃত হয়, সে বিষয়ে তার দৃষ্টির শৈথিল্য নেই । যারা বেতনভুক্‌ গবেষক আছেন তারা কোথায় কি কাজ করছেন, কাজে কোনও অবহেলা হচ্ছে কিনা, সে সকল বিষয়েও তার যত্ব ও পরিশ্রমের, অভাব নেই। তার ব্যবস্থা সুন্দর ও ব্যবহার এত কোমল যে অতি সহজেই সে সকলের হৃদয় জয় করেছে। তাকে খুলী করবার জন্য সকলেরই