পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8©)ჯუ অধ্যাপক বুদ্ধিবৃত্তি না থাকলেও এই মৌলিক প্রবৃত্তিগুলি একদিকে প্রযুক্ত হয় তাদের বাইরের উদ্দেশ্যের দিকে এবং সঙ্গে সঙ্গে অপর দিকে সেই প্রবৃত্তিগুলি সেই উদেশু-সিদ্ধির পথও পারে খুজে নিতে । আহার অন্বেষণ, বাসা বাধা, অন্য প্রাণীদের হাত থেকে নিজেদের বাচানো, সন্তানদের লালনপালন করা প্রভৃতি সমস্ত কাজই ইতর প্রাণীরা স্বসম্পন্ন করতে পারে তাদের প্রবৃত্তির স্বাভাবিক অনুপ্রেরণায় । ইতর প্রাণীদের মধ্যে এই প্রবৃত্তিপুঞ্জের একটা স্বাভাবিক সামঞ্জস্য আছে। কিন্তু মানুষের মধ্যে একদিকে আছে বুদ্ধি আর একদিকে আছে প্রবৃত্তি । এই বুদ্ধি ও প্রবৃত্তির মধ্যে একটা স্বাভাবিক সামঞ্জস্য নেই। এই জন্য বুদ্ধিপূর্বক মানুষ কোনও প্রবৃত্তির অনুসরণ করলে সে হয় ত এমনভাবে জীবনযাত্রা অনেক সময় সমাধা করতে পারে না যাতে তার সমস্ত প্রবৃত্তির আক্রনন মিটে যেতে পারে এবং সামাজিক ব্যবস্থাও সকল সময় তার পক্ষে হয় ত অনুকূল হয় না। হয় ত কারও মনে ধনার্জন ও বিদ্যার্জনের উভয় আকাঙ্ক্ষাই রয়েছে । সে যদি এমন সময় পাটের ব্যবসা খুলে দেয় তাতে হয় ত সে প্রচুর অর্থ পেতে পারে তবু হয় ত সে বিদ্যার অভাবে জীবনটা ব্যর্থ মনে করতে পারে। সমস্ত জীবন ভরে থাকবে তার এই ব্যর্থতার বোধ, হৃদয়ে সে পাবে না কখনও তৃপ্তি। যতই অর্থ সে উপার্জন করুক না কেন, তার মনে সে কোন আনন্দ পাবে না । তাই যখন দেখা যায় যে মানুষ কোনও কাজে লেগে প্রসন্নভাবে সেই কাজে দিয়েছে তার মন ঢেলে, কোনও অভাব বা দৈন্তের বোধ তাকে নিপীড়িত করছে না, তখন বুঝতে হবে যে সে তার কর্থের মধ্যে আপন প্রবৃত্তিপুঞ্জের যথার্থ মুক্তি পেয়েছে । এই জন্যই একথা বলা যেতে পারত যে কানাই বিদ্যামন্দিরের মধ্যে অধ্যাপক ও সুজাতার সান্নিধ্যে খুজে পেয়েছিল তার