পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 8ළුණු জীবনের যথার্থ পথ । অধ্যাপকের নিকট সে পেত উপদেশ ও উৎসাহ, তার আপন গবেষণার কাজের মধ্যে সে প্রবাহিত করতে পারত তার কর্ম্মশক্তির স্রোত, ব্যায়ামচর্চার মধ্যে হ’ত তার দেহের অনুশীলন এবং হৃদয়েব স্নিগ্ধ অনুলেপের অভাব তার মোচন হ’ত সুজাতার মুস্নিগ্ধ বন্ধুতায় । সে বন্ধুতা তাকে সুরার ন্যায় উত্তেজিত করত না, তা তাকে এনে দিত দুগ্ধের বল । পুরুষের মধ্যে নারীসঙ্গের যে একটা ক্ষুধা আছে সে ক্ষুধার নিবৃত্তি যে কেবল স্থল উপায়েই ঘটতে পারে ত নয়, রসান্তরে পরিণত হয়ে একটি গাঢ় মেহরসের মধ্যে মানুষের সেই ক্ষুধ শান্ত হয়ে যেতে পারে। দেহের উপাধি থেকে মুক্তিলাভ কবলে এই গাঢ় স্নেহরসটি তার সমগ্র পবিত্রতার সঙ্গে হৃদয়কে অনুষিক্ত কপে দিতে পারে, আপ্লাবিত করে দিতে পাবে আমাদের অন্তভূমির সমস্ত সম্পদ । তাই কানাই চলেছিল হৃষ্টমনে, নিবিষ্ট করেছিল আপনাকে তার কাজের প্রেরণায় । অধ্যাপক ও সুজাতাকে কেন্দ্র কবে তাব যে গতির আবর্ত্ত হুষ্ট হয়েছিল, সেখান থেকে চ্যুত হওয়ার আর যেন কোনও আশঙ্কা ছিল না । পুত্রের ন্যায় বাংসল্য জন্মেছিল সুজাতার অধ্যাপকের উপর । পিতার ন্যায ভক্তি করত সে তাকে এবং জীবনে সব চেয়ে বেশী যাকে শ্রদ্ধা করত, সেই কানাই ছিল তার সহকর্ম্মী হয়ে । কাজেই, সুজাতার জীবনস্রোত নিদ্বন্দ্বে ছুটে চলেছিল আপন কর্ম্মপথে, যেমন ছুটে চলে ভাগীরথীর রসধারা হিমালযের শৈলসানু থেকে । এ একটানা স্রোত, এর ভাটাও নেই, জোয়ারও নেই। পবিত্র প্রেম ও উৎসাহের উৎস থেকে এ সর্ব্বদাই হ’ত পরিপূর্ণ । 線 প্রভা আসত মধ্যে মধ্যে স্বজাতার কাছে। প্রভার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। রঞ্জন এমএ পাশ করে বেকার হয়ে খুজে বেড়াচ্ছে