পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 o অধ্যাপক করতে গেল কানাইয়ের সঙ্গে । কানাই বল্পে যে এ অবস্থায় তার যাওয়াই উচিত, সে নিজেই দেখাশোনা করবে অধ্যাপকের, সেজন্য সুজাত যেন চিন্তা না করে । সুজাতার পরের চিন্তা হ’ল, কেমন করে? একলা সে যাবে স্বকুমারের ওখানে । এখানে কানাইকে নিয়ে যাওয়া চলে না, এ বিদ্যামন্দিরের কাজ নয়। এ কাজ তার ব্যক্তিগত । তারপর সে সিদ্ধান্ত করলে যে যেমন করে’ হোকৃ প্রভা ও রঞ্জনকে নিয়ে সে যাবে। প্রভার কাছে কথাটা পাড়তে সে দেখলে প্রভার বিশেষ আপত্তি নেই এবং সে একথাও আবিষ্কার করল যে প্রভাও কম ব্যাকুল হয় নি সুকুমারের জন্য । সুজাতার এখন বয়স হয়েছে এবং সঙ্গে সঙ্গে সাংসারিক অভিজ্ঞতাও অনেক বেড়েছে। পূর্ব্বে হ’লে সে এ ব্যাকুলতার কোনও কারণ অনুসন্ধান করতে চেষ্টা করত না, কিন্তু আজ এর মধ্যে সে যেন একটা স্পষ্ট ইঙ্গিত দেখতে পেলে । একটু হেসে তাকে বল্লে—“চল তুই তবে আমার সঙ্গে । রঞ্জন ত এখন পাকাপোক্ত জোয়ান হয়েছে, পথে কোনও আপদ বিপদের আশঙ্কা থাকলে সেই আমাদের দেখতে শুনতে পারবে ।” এর পরে সে উপস্থিত হ’ল প্রস্তাবটা নিয়ে অধ্যাপকের কাছে । সুকুমারের কথা অধ্যাপক অনেক সময় শুনেছেন স্থজাতার কাছে এবং র্তার মনে মনে একটু ক্ষীণ আশাও ছিল যে হয় ত এই সুকুমারও এসে যোগ দেবে তার বিদ্যামন্দিরের কাজে । আজ স্বকুমারের পীড়ার কথা শুনে তিনি অত্যন্ত ব্যথিত বোধ করলেন । র্তার মনে কেবল উদ্বেগ রইল, এই রোগের শুশ্রুধা করতে গিয়ে সুজাতা . আবার নিজে কোনও অসুখে না পড়ে । সুজাতা তাকে বোঝালে যে প্রভ} এবং সে, দু’জনে যাচ্ছে, দু’জনে ভাগাভাগি করে কাজ করবে। দরকার হ’লে নার্সও রেখে দিতে পারবে, চিন্তার কিছু নেই ।