পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 88ష్టి তার স্পষ্টই মনে হ’ত যে বর্ত্তমান আকর্ষণ অনেক গভীর । তখন সে তার মনকে জিজ্ঞাসা করত—যথার্থই কি সুজাতার আকর্ষণ এত অধিক গভীর, না বর্ত্তমানকালে অনুভূত হচ্ছে বলেই কালধর্ম্মে তাকে এত গভীর বলে মনে হচ্ছে ? আমাদের অতীত কালের অনেক ছবি আমাদের মনে ভাসে, কিন্তু তার রূপ যায় বদলে । কিন্তু সেই ছবির সঙ্গে যে ভাব বা emotion জড়িত থাকে তার কোনও ছবি হয় না এবং ছবি হয় না বলেই তার পরিমাণ ও প্রকৃতি সম্বন্ধে আমাদের মত অনেক সময়ই ঠিক হয় না । কাজেই তার নিজের মনের কাছেই সে নিশ্চিতভাবে এই সাক্ষ্য দিতে অসমর্থ হয়েছিল যে সুজাতার প্রতি তার যে আকর্ষণ তা প্রকারে, জাতিতে ও পরিমাণে একান্ত বিভিন্ন প্রকারের । সুজাতার প্রতি কানাইয়ের ছিল অসীম শ্রদ্ধা, কাজেই সে সুজাতার সম্মুখে এমন কোনও উপহার আনভেই পারত না যা দেবতার উপহারের ন্যায় পবিত্র নয় । প্রেমের একটা ক্লিল্প দিকের পরিচয় সে জীবনে পেয়েছে । সে প্রেমও ছিল ক্লিন্ন, তার পাত্রীও ছিল ক্লিন্ন । আজ সে উঠেছে মঞ্চের একটি উপরিতর ধাপে, পবিত্র হয়েছে তার চিন্তা এবং আত্মা। অপরদিকে স্বজাত শুদ্ধ, অপাপবিদ্ধ, তার কাছে সে প্রেমের এমন উপহার ধরতে পারে না যা তার উপযুক্ত নয় । স্থজাতার প্রতি তার আকর্ষণ যে একট। উচ্চাঙ্গের ভালবাসা, দেহবিমুক্ত ভালবাসা, এ সম্বন্ধে সে নিজের কাছেই বা কি প্রমাণ দিতে পারে তা তার জানা ছিল না তাই সে সকল সময়ে নিজেকে নিরুদ্ধ করে’ রাখত। আজ চিঠিতে যেটুকু ধরা পড়েছে সেটুকু অবচেতনাগত মনের স্থলনে । সুজাতা বাল্যকাল থেকে যে রকম আবহাওয়া ও শিক্ষার মধ্যে মানুষ হয়ে এসেছিল তাতে দেহধর্ম্ম সম্বন্ধে সম্পূর্ণরূপে জাগ্রত হওয়া তার পক্ষে সম্ভব হয় নি। প্রথম প্রথম সে মঞ্জুরীকে বলত যে হৃদয়ের মধ্যে সে ૨૪