পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 8○○ মুকুমার বল্লে—“একটু কাছে এসে বস না ।” স্বজাত বল্লে—“কেন, এই ত বেশ আছি ।” স্বকুমার বল্লে—“কেন, কাছে বসতে দোষ কি ?” সুজাতা বল্লে—“দোষ হয় ত কিছু না থাকতে পারে, প্রয়োজন ত কিছু নেই।” সুকুমার বল্লে—“মনে কর দেখি সেই ছেলেবেলার কথা । তুমি কত আমার মাথায় দিতে হাত বুলিয়ে । উকুন বের করি বলে মিথ্য ভাণ করে নথে নখে টুস্টস শব্দ করতে । আমিও কত দিয়েছি তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে, বেশীট ধরে দিয়েছি নাড়া। সে সব কথা কি ভূলে গিয়েছ ?” সুজাতা বল্লে—“ভুলে কেন যাব ? জীবনের এক প্রান্তে যা ঘটে আর এক প্রান্ত পর্য্যন্ত তার জ্যোতির কনকরেথা ফেলে তার মন্থণ ছায়া । উষার তরুণ আলো ফুলকে করে বিকশিত, সন্ধ্যায় যখন সে ঝরে পড়ে তখনও সে ফুল ভোলে না কার ছোওয়ায় জেগেছিল তার জীবনে প্রথম শিহরণ ।” স্বকুমার বল্লে—“তবে ?” স্বজাত বল্লে—“তোমার প্রশ্নের ত কোনও অর্থ বুঝতে পারছি ন। জীবনের ইতিহাসে প্রথম আরম্ভে যা ঘটে সেইটিই থাকে চিরন্তন হয়ে, না চিরন্তন হয়ে থাকার কোনও দাবীই তার আছে ?” স্বকুমার বল্লে—“তবে যে তুমি রয়ে যে শেষ প্রান্ত পর্যন্ত থাকে তার ছায়া ?” স্বজাতা বল্লে—“ছায়া যে থাকে তার প্রমাণ এই যে লোকমুখে তোমার অসুখের খবর শুনে আমি সমস্ত কাজ ফেলে ছুটে এসেছি তোমার কাছে। পত্র-সঙ্কর-কষায় কটুম্বাদ নিঝরিণী যখন তার ইতিহাসে