পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক శ్రీన్స్ অতুসন্ধানে । আমার মনে হয় যে মেয়েরাও হয় ত অনেক সময় | পুরুষকে এমনি করে’ই বাধে যে সে কতটুকু নিঃশ্বাস ফেলবে তাও ; নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসে মেয়েদের ফাসের মধ্য থেকে । কিন্তু একটা কথা আমার এই মনে হয়, মেয়েদের যে এই স্বাভাবিক প্রবৃত্তি রয়েছে, সেটা কি তারা সচেতনভাবে ব্যবহার করে, না তাদের মনেরও একান্ত অজ্ঞাতে তাদের প্রচ্ছন্ন সংস্কারের মধ্যে তারা এ রকম করে !" মঞ্জরী হেসে বল্লে—“তা নির্ভর করে মেয়ের প্রকৃতির উপর । কোনও মেয়ে হয় ত এমন আছে যে স্বভাবতঃই একেবারে এলানো ; স্বভাবের । পুরুষকে বাধার চেয়ে তাদের বেশী আনন্দ হচ্ছে তাদের উপর আশ্রয় করে এলিয়ে পড়াতে । মনের তাগিদ তাদের কম, চেতনার চিকণত৷ তাদের স্নান । তাদের মধ্যে আছে ভালবাসার । আকর্ষণ, আশ্রয়ের মোহ । তাদের দেহের ও মনের ভার তারা বহন করতে পারে না, তাই তারা চায় যে কোনখানে এলিয়ে পড়ে নিশ্চিন্ত হয়ে সারাটা জীবন একটু ঘুমিয়ে নেয়। পুরুষের পক্ষে তারা ভার হয় না, চাদরের মত তাদের কাধে নিয়ে তার হন হন করে’ এগিয়ে চলতে পারে তাদের গন্তব্য পথে। তারা পুরুষকে বাধে বটে, কিন্তু চেতনায় নয়, অবচেতনায় ; বুদ্ধিতে নয়, ভালবাসার বিলাসে । , কিন্তু যাদের মধ্যে বুদ্ধির প্রথর দীপ্তি আছে, রূপের সম্পদ আছে, তারা আশ্রয় করতে চায় যথার্থ একজন সতেজ মানুষকে ; তারা পরখ করে দেখতে চায় যে কোমল ও কঠিন, বিলাস ও বীর্য্য, নারী ও । পুরুষের এই যে দু’টি অস্ত্র, এর মধ্যে কোনটি বেশী বলবান । পুরুষ যত । বাড়ে, যত তার সম্পদ অজস্র হয়ে ওঠে, তত নারীর লোভ থাকে : তার সেই সর্ব্বস্ব টুকুর দিকে—কোনও দিক দিয়ে, কোনও ফাক দিয়ে তার যেন এমন একটি কণাও না থাকে যা নারীর কাছে বাদ পড়বে।