পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 8Ꮼ☾ মাথার উপর আবরণ করে দিতে রাঙা মুখখানিকে । প্রভাত-সূর্য্যোদয়ে স্থলকমলিনীর মত ঝলক দিয়ে উঠল তার রূপের ফোয়ারা, মুখের স্থানে স্থানে অভিব্যক্ত হ’ল মুক্তাফলের ন্যায় ঘর্ম্মবিন্দু। মুখে বল্লে— “স্বজাত দি, তোমার কি ঠাট্টার একটা কাণ্ডাকাণ্ডি জ্ঞান নেই ?” সেই দিন গভীর রাত্রি পর্য্যন্ত সুজাতার সঙ্গে প্রভার অনেক কথা চলল। প্রভার মন সুকুমারকে আশ্রয় করে ছিল, কাজেই প্রভাকে বোঝাতে সুজাতার খুব দেরী লাগল না। সে প্রভাকে বুঝিয়ে দিলে যে অনেক পুরুষ নিজের মন না জেনে নানা স্থানে মুগ্ধ হয়ে পড়তে পারে, কিন্তু তথাপি তাদের ভালবাসার আলোটি স্নান হয় না । স্বকুমারের হৃদয় কোমল, সে স্যায়নিষ্ঠ ও কর্ত্তব্যনিষ্ঠ । সেই জন্যই প্রভা ও সুকুমার জীবনে পরস্পরকে সুখী করতে পারবে । সিদ্ধান্ত হ’ল যে পরদিন রাত্রের ট্রেণে সুকুমারকে নিয়ে তারা সকলে কলকাতা রওনা হবে । সুকুমার থাকবে প্রভার ওখানে । প্রভাই তাকে দেখাশোনা করবে। তারপর একটা শুভদিন দেখে তাদের শুভ বিবাহের ব্যবস্থা করা হবে । সুকুমার চিরকালই আরামপ্রিয়। দেহচর্চা ও লেখাপড়ার পরিশ্রমে তার জীবনীশক্তি হয়ে এসেছিল ক্লান্ত । তারপর দেখা দিল তার মনে প্রেমের বিলাস—জীবনে কাউকে সঙ্গিনী করে স্বচ্ছন্দে কাল কাটাবে। যে দু’টি মেয়ে ছিল তার সামনে তাদের প্রত্যেকটির প্রতি পরম্পরাক্রমে হাত বাড়ালে , হাতে লাগল আগুনের ছাকা । স্বজাতার যেমন একটা মনের কাঠামো ছিল স্থনিদিষ্ট, মঞ্জরীর মনের কাঠামোও ছিল তেমনি স্বনির্দিষ্ট, যদিও উভয়ের গতিপ্রণালী ছিল একেবারে বিভিন্ন । এদের কেউই পারলে না মুকুমারকে গ্রহণ করতে । হতাশায় ম্ৰিয়মাণু স্বকুমার আকস্মিক অস্থস্থতায় পড়ল জীর্ণ হয়ে । \రి