পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 8\ኃዓ একদিন অধ্যাপকের সঙ্গে সুজাতার কথা চলছিল । সুজাতা বল্পে —“আমাদের দেশের মেয়ের মেয়েই হয়ে রয়েছে, মানুষ হ’তে পারছে না। অনাদিকাল থেকে পুরুষেরা তাদের নানারূপ স্তুতিগান করে তাদের মেয়েলি ধর্ম্মট এমন বাড়িয়ে তুলেছে যে মেয়ে ছাড়া মানুষ হিসাবেও যে তাদের একটা স্থান আছে এ কথা সম্বন্ধে তারা প্রায় কখনই সচেতন হ’তে পারে নি ।” অধ্যাপক বল্পেন—“তোমার কথার অর্থ বুঝলাম না, তুমি মনুষ্যত্ব বলতে কি বোঝ ?” সুজাতা বল্লে—“দেহে ও মনে উৰ্দ্ধদিকে চলবার যে নিরস্তর একটা উৎসাহের স্পন্দন চলে তাকেই আমি প্রধানতঃ মহন্তত্বের ধর্ম্ম বলি । মমুযুত্বের পরিচায়ক অন্য যে সমস্ত ধর্ম্ম আছে সেগুলিকে আমরা এই উৰ্দ্ধশিখার প্রজলন থেকে পেতে পারি।” - অধ্যাপক বল্লেন—“মানুষ এসেছে পশু থেকে, মামুষের মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে বুদ্ধি ও একটা অধ্যাত্মলোক । পশুলোকের সঙ্গে সংগ্রামে মাহুষ হয়েছে জয়ী তার বুদ্ধির দ্বারা । মানুষের বর্তমান যুগের ও পরবর্তী যুগের ইতিহাস হবে জাতিতে জাতিতে, সমাজে সমাজে দ্বন্দ্ব। এই দ্বন্দ্বে শুধু বুদ্ধি মানুষকে বাচাতে পারে না, বাচাতে পারে শুভ বুদ্ধি । সেই জিনিষকেই আমরা শুভ বলি যা কেবল একের মঙ্গল চায় না, চায় সকলের মঙ্গল, ষা স্বার্থের চেয়ে বড় স্থান দেয় পরার্থকে, নিম্প্রয়োজনে যেখানে ওঠে আনন্দ, “অধ্যাত্ম” এই শুভ শৱটির একটি প্রতিশব্দ। যখন এই অধ্যাত্ম • বা শুভ প্রেরণা দ্বারা মামুষের বুদ্ধি ও কার্য্য প্রেরিত হয় তখনই দেখা যায় মহন্তত্বের বিকাশ ।” কুঞ্জাত৷ বল্পে—“আমার কথার সঙ্গে আপনার কথার পার্থক্য কোথায় ?”