পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 8이어 অধ্যাপক বললেন—“ন, তা কেন হবে, প্রেমে প্রেমে ত বিরোধ নেই । সেইখানেই প্রেম দেখা দেয় তার যথার্থ উজ্জ্বলতায় যেখানে একটা প্রেম বাধা দেয় না অন্য প্রেমকে । প্রেমে প্রেমে আসতে পারে একটা আপাত বিরোধ কিন্তু সে বিরোধকে অতিক্রম করে প্রেম দেখা দেয় একটা গভীরতর মঙ্গলতর রূপে । যেমন চিন্তায় চিন্তায় আসে বিরোধ, সে বিরোধের কারণ হচ্ছে দেশ, কাল, অবস্থা ও উপাধির বিরোধ। চিন্তার যথার্থ গতি বিরোধের দ্বারা স্থগিত হয় না, সে আপনাকে প্রকাশ করে তার মহত্তর অভিব্যক্তিতে । বিরোধ কেবল মাত্র সন্ধুক্ষিত করে তোলে এই অভিব্যক্তির পথ ।” স্বজাত আবার জিজ্ঞাসা করলে—“প্রেমে প্রেমে বিরোধ হবে না কেন ? মানুষের স্বীপুত্রাদি সংসার যাত্রার সঙ্গে কি অন্য আকর্ষণের বিরোধ ঘটে না ? স্বাদেশিক হিতৈষণার সঙ্গে কি পারিবারিক প্রেমের বিরোধ হয় না ?” অধ্যাপক বললেন—“আমি ত বলিনি আপাত বিরোধ ঘটবে না । কিন্তু বিরোধটা স্থায়ীও নয়, স্বাভাবিকও নয় । তবে একথা মনে রাখতে হবে যে, প্রেম বলতে আমি বুঝি হৃদয়ের দ্রুতি, হৃদয়ের ভাবনিষেক । সেই প্রেম যখন প্রতিবিম্বিত হয়ে পড়ে বাইরের কাজে তখন বস্তুভেদে বিষয়ভেদে তাতে আসতে পারে বিরোধ। কারণ একই সময়ে বিভিন্ন রকমের ছুটী কাজ বাইরের জগতে করা সম্ভব নয় । কেউ দেশহিতৈষণার জন্য এমন কাজ করল যাতে হবে তার প্রাণ দণ্ড, এমন কাজের সঙ্গে তাবু স্ত্রীপুত্রের প্রতি প্রেমের অনুকুল যে কার্য্য ছিল তার সঙ্গে তার বিরোধ ত ঘটুবেই । কিন্তু হৃদয়ের মধ্যে দেশের প্রতি প্রেমকে যে গভীরভাবে উপলব্ধি করেছে তার এই প্রেমের মাহাত্ম্য বহুগুণ বেড়ে যাবে, বহুগুণ উদার ও সহনীয় হয়ে