পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 8切-> পত্রপুঞ্জ গেছে ডুবে, খালি উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে বালস্থর্য্যপ্রতিস্পন্ধী বল্লরীর লাবণ্য, তখন যে আমরা শুধু আনন্দিত হই তা নয়, সেই পুঞ্জীভূত লাবণ্যে আমরা হই বিস্মিত । প্রভার মধ্যে আজ যে লাবণ্য উদ্দীপ্ত ও হর্যোজুল হয়ে উঠেছিল তা যেন এক প্রভার নয় । নারী যখন আপন প্রিয়জনের সহিত সঙ্গত হয়ে পুঞ্জীভূত আদিম আনন্দকে আপন রক্তোচ্ছলতার সহজ লীলায় প্রকাশ করে আপন প্রসন্ন মুখবর্ণে, তখন মনে হয় যেন সে লাবণ্য শুধু তার নয় । সমস্ত অনাদিকালের বধূলোকের লাবণ্য যেন স্বৰ্গলোক থেকে নেমে আসে নবপরিণীতার মুখের উপর । বন্ধুবরণের সময় প্রতিবেশিনী সমস্ত বধুরা একত্র হয়ে বরণ কবে তোলে নববধূকে বধূলোকের সমৃদ্ধির বাজো । সেই একদিনের স্ত্রী-আচারে সমস্ত বধূর মিলিত হয়ে আনন্দে যে মায়ার খেল খেলে সে মায়া শুধু সেই রাত্রের নয় । সেই মায়াস্রোতের মধ্য দিয়ে অনাদিকালের বধূলোকের সৌভাগ্য মণ্ডিত করে তোলে নববধূর ক্রকে । এই বধূলোকের সৌভাগ্যের মধ্যে আমরা সাক্ষাৎ পাই মহামায়ার মায়ামৃষ্টির । এ রূপ উজ্জল, বিস্ময়কর, পবিত্র, এ আবাহন করে আনতে পারে কবির কাব্য ও শিল্পীর শিল্প । সি দুরের ফোটায় ডগমগ করছে প্রভার কপাল, সিথিতে স্ববিন্যস্ত হয়েছে সিন্দুর রেখা, নয়নপল্লবের অধঃপ্রান্তে বক্রীকৃত চারুচাপের ন্যায় আয়ত হয়েছে কজ্জলরেখা,--যেন ভ্রমর পংক্তির মধ্য দিয়ে ব্যঞ্জিত হচ্ছে কমল-লক্ষ্মী, যেন অন্ধকারের পরপার থেকে ছুটে আসছে আলোকরেখা তার উদ্ভান্ত হৰ্ষোৰ্জ্জল দৃষ্টি নিয়ে এই বিস্মিত মহাভূবনের উপরে । চম্পকাণ্ড গণ্ডের প্রতিম্পৰ্দ্ধিতায় দুলছে তার কর্ণাভরণ, অৰ্দ্ধাবগুণ্ঠনে যেন জ্যোতির পরিবেষের মধ্য দিয়ে দেদীপ্যমান হয়ে উঠেছে তার মুখকান্তি। সর্ব্ব মঙ্গে আভরণ করছে তার ঝলমল । পরিধানে তার v° ა