পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 8ᎼᏬ বাঘিনী জেতে কি মানুষ জেতে সেটা নির্ভর করে অদৃষ্ঠের উপর । কিন্তু কানাইয়ের জীবনে ঘটল তার বিপরীত। মধুর আস্বাদ আকণ্ঠ পান করবার পূর্বেই তার জীবনে এল একটা নূতন রকম উত্তেজনা, একটা মাদকতা, যা অতিক্রম করল এই মধুলোভকে । অবশেষে মধুর পাত্র গেল বিমুখ হয়ে তার কাছ থেকে এমনভাবে সরে যে আর কখনো দাড়াবে না পাত্রটি তার সামনে এসে । সে পাত্রের কদর্য্যতা জুগুপ্ত। এনে দিল তার প্রতি কানাইয়ের মনে । এমনি এক অবসরে তার সামনে এসে দাড়াল সুজাতা তপশ্চারিণীর মহনীয় লাবণে । হৃদয়ের মধ্যে থমকে দাড়াল কানাই । কিন্তু কানাই পারত না অন্তরের মধ্যে চিন্তা করে তার মনকে একটা সামঞ্জস্তের ক্ষেত্রে নিয়ে আসতে । তার প্রবৃত্তি ও কর্ত্তবাবুদ্ধি উভয়েই প্রবল হয়ে ছুটত এবং আহত করত তার বক্ষ । অনেক খেলোয়াড আছে যারা বিপক্ষের গোলের দিকে বল চালনা না করে স্বপক্ষেই দিয়ে থাকে গোল। কানাইয়ের ধাতু ছিল কর্ম্মপথে বেরিয়ে যাওয়া কিন্তু তার প্রবৃত্তি ও কর্ত্তবাবুদ্ধির দ্বন্দ্বে তার চিত্ত কোন পথেই আত্মপ্রকাশ করতে পারল না, সে নিজের তেজে নিজেই হ’তে লাগল দগ্ধ । সুজাত আকর্ষণ করল তার শ্রদ্ধাকে এবং শ্রদ্ধার উচ্চস্তরে মেঘের মত ঘনিয়ে উঠল তার ভালবাসা । কিন্তু সেই মেঘকে সে সাহস করল না নামিয়ে দিতে ধারাবর্ষে নিম্নস্তরে । তার কর্ত্তবাবুদ্ধি এসে তাকে বাধা দিল। তার ধারণা ছিল, একজনকে একবার ভালবাসলে দ্বিতীয়বার আর কাউকে ভালবাসা যায় না, প্রেম যদি না হয় একনিষ্ঠ তবে তা হয় ব্যভিচার । শরীরের ব্যভিচার ও মনের ব্যভিচার একই কথা । শ্রদ্ধা যখন ঘনিয়ে এল ভালবাসায় তার ভারে টনটনিয়ে এল তার হৃদয়ের নাড়ী দূর প্রাস্তে । কিন্তু সে চাইলে না তাকে স্বীকার