পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8్స 8 অধ্যাপক করতে মনে মনে সে করলে আত্মাকে শাসন, বাইরে ত করলেই না তা প্রকাশ । এমন চাপ দিতে চেষ্টা করল সেই মেঘরাশিকে যাতে তা বর্ষিত না হয়ে পরিণত হয় লঘুবাম্পে । লঘুৰাম্পে পরিণত হয়ে তার আয়তন গেল বেড়ে । ভিতরে সে অনুভব করছিল পীড়া দূর নাড়ীর প্রান্তে, এখন সে পীড়া ঘনিয়ে এল সমস্ত হৃদয়ের নাড়ীযন্ত্রের উপরে । মেঘকে উড়িয়ে দিয়েছে বলে’ সে স্বস্তিবোধ করল কিন্তু তার এই নিরানন্দ বিমৰ্ষভাব যে কেন এল তা সে বুঝতে পারল না । যখন স্বজাতা গিয়েছিল স্বকুমারের কাছে, তখন সে একবারও মনে করতে পারে নি যে মুজাতার অভাবে তার মন এত ক্লিষ্ট হয়ে উঠবে । মুজাতার সঙ্গে সে বেরিয়েছিল বরিশালে এবং তারপর আশ্রমে অনেক আলাপ আলোচনা হয়েছে তার সঙ্গে । কত শিশিরনিঝরিত উষায় বিকশিত কুম্মাঞ্চল-লাঞ্ছিত বনৰীথিকায় কত চপল ভ্রমর গুণ গুণ, করে গিয়েছে উভয়ের কাণের কাছ দিয়ে, কত সুগন্ধ বায়ু একত্রে গ্রহণ করেছে তারা নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে, চক্ষুর অঞ্জলি আপূরিত করে’ উভয়ে একত্র গ্রহণ করেছে পুষ্পরাজির লাবণ্য, কত সন্ধ্যার নৈঃশব্দ্য শুনিয়ে গিয়েছে তাদের কাণে তারালোকের বীণাধবনি, সূর্য্যাস্তের পাখীরা করে গেছে কলগান, অস্তাচলে তারা উভয়ে নিরীক্ষণ করেছে গন্ধর্ব্বনগরীতে স্বরস্থদেরীদের বর্ণনৃত্য, ক্লাস্ত হয়ে বসেছে কত পাদপতলে, কোন সময় বা অন্যমনস্কতায় হাতে লেগে গেছে হাত ; উভয়েরই হৃদয়ে পরস্পরের অজ্ঞাতে কখনও বা ছুটে গেছে একটা রক্তকল্লোল, প্রতিবিম্ব পড়েছে সেই শোণিতের উভয়ের মুখমণ্ডলে ; প্রত্যেকেই তা গোপন করতে চেয়েছে কেবল অপরের কাছ থেকে নয়, নিজেরও কাছ থেকে । কানাই মঞ্জরীকে এক সময় ভালবাসত, কিন্তু সে ভালবাসা তাকে