পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 86. কে বলে পুরুষ ছাড়া নারীর জীবন নাহি চলে, তাহার আপন স্থান পুরুষের চরণের তলে ? যে পথে পুরুষ চলে সে পথে চলিতে নারী পারে, .পারে সে গৌরবে তার আপনারে উচ্চ করিবারে । সে ত দুর্ব্বলের বৃত্তি যে রহিবে নিয়ে ভালবাসা— উডিতে যে চাহে উৰ্দ্ধে কেমনে সে নীড়ে নেবে বাসা !” মঞ্জরী বল্লে—“তুমি এ সম্বন্ধে যে রকম উগ্র মত পোষণ কর তাতে তোমার সঙ্গে বেশী তর্ক করে কোনও লাভ নেই । পুরাণের নরসিংহ মূর্ত্তিতে দেখা যায় যে তার নীচের দিকটা জন্তু, উপরের দিকটা মানুষ । তুমিও তেমনি দেহে যেমন পূর্ণ হয়ে রয়েছ নারীত্বের চরম উৎকর্ষে, তেমনি মনের দিকে হয়ে ওঠ পূর্ণ পুরুষের তেজস্বিতায়, তার আদর্শের পিছনে ছুটে চলার বৃত্তিতে, প্রতিষ্ঠা ও সার্থকতার অনুসন্ধানের গৌরবে । এ বিষয়ে নিশ্চিন্ত থেক যে সে পথে আমি তোমার প্রতিদ্বন্দ্বী হব না। আর যদি নেমে এস শেষ পর্য্যন্ত আমাদের ধূলোকাদণর মধ্যে, তবে কি হয় বলা যায় না । আচ্ছা, সে কথা যাক্ । একটা কথা তোমায় জিজ্ঞাসা করি—আমাদের হেড, মিষ্ট্রেস নিস্তারিণী দেবীর ঘরে তুমি সকালসন্ধ্যায় বই বা গুছিয়ে দিতে যাও কেন, বাগান থেকে টাটুক। ফুল চয়ন করে সেখানে অর্ঘ্যের ডালি বা রাখ কেন, আর ধূপকাঠি জেলে তার ঘরটি বা গন্ধে আমোদিত করে' রাখ কেন ? এটা ত খুব তেমন একটা উচ্চ বা স্থঙ্কতম বৃত্তি বলে মনে হচ্ছে না।” স্বজাত বল্লে—“ওটা যে আমি তোমাকে ঠিক বোঝাতে পারব তা বলতে পারি না । কোথাও যেন এই নিস্তারিণী দেবীর মধ্যে আমি আমার মায়ের মুখের ছায়া পাই । সেই থেকেই আমার অজানতে আমি ওঁর দিকে আকৃষ্ট হয়েছি । এক এক জন লোকের চেহারার ।