পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৫২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ৫ ১৯ ংস্কার আছে ষে স্বপ্নে দূরবর্তী ভবিষ্যৎ ঘটনার প্রতিবিম্ব দেখতে পাওয়া যায় । আমাদের দেশে প্রাচীনকাল থেকেই স্বপ্নশাস্ত্রের প্রচলন আছে এবং শাকুনবিষ্ঠার মধ্যে স্বপ্নবিদ্যাও পরিগণিত হয়েছে। কোন স্বপ্ন দেখলে ভাল হয়, কোন স্বপ্ন অত্যন্ত অশুভ, এ সম্বন্ধে স্বপ্নশাস্ত্রে অনেক আলোচনা দেখা যায় । অনেকে মনে করেন যে, যে সমস্ত আকাজক্ষাকে, বিশেষতঃ নরনাবীগত ধর্ম্মাক্রান্ত আকর্ষণকে আমরা বলপূর্বক চেতনায় প্রস্ফুটিত হ’তে দিই না কিংবা চেতনায় প্রস্ফুটিত হ’লেও তাদের বহিঃপ্রকাশকে করি ব্যাহত, সেগুলি নিগৃহীত হয়ে বাস করে অবচেতনালোকে এবং যখনই চেতনা ও অবচেতনার মধ্যবাসী দ্বারীটি হন শ্রম বা তন্দ্রাযুক্ত তখনই অবচেতনালোকের সেই সমস্ত নিগৃহীত ভাবগুলি বিভিন্ন বেশে এবং অনেক সময় বিকৃত ভাবে আমাদের প্রমূঢ় চেতনালোকে স্বপ্নরূপে আপনাদের প্রকাশ করে । তাই স্বপ্নশাস্ত্রের অনুশীলনের দ্বারা অবচেতনাগত মনের অনেক আভাস পাওয়া যায় | আমাদের মনের অবচেতনার মধ্যে আমাদের ভবিষ্যৎ ইতিহাসের কোন ছায়া পড়ে কি না এবং সেই ছায়া স্বপ্নে সংক্রান্ত হ’তে পারে কি না এবিষয়ে এখনও যথেষ্ট অনুশীলন হয় নি। তবে জীবনে অনেক সময় অবচেতনানিন্মুক্ত আভাসকে সত্য হ’তে দেখা যায় । হঠাৎ বিনা কারণে মনে হ’ল আঞ্জ আমার ভাই আসবে—হয় ত সত্যই ভাই এসে উপস্থিত হ’ল । এই জাতীয় আভাসকে বলে প্রতিভা । কিন্তু আজ এই বসন্ত সন্ধ্যায় ফুল্লকুসুমগন্ধের মধ্যে অন্ধীকৃত চেতনার অক্ষুট আবেশে স্বজাতার চিত্তে যে আড়াস উঠছিল তা ঠিক স্বপ্নলোকের স্বপ্নের মত নয় । তা যেন অবচেতনাগত নানা বিহবল ভাবের পদচারণের গুঞ্জন, যেন তাদের কেশবাসের স্বগন্ধ। গন্ধের মতই তা দুর্বিজ্ঞেয়, জ্যোংস্কার মতই তা অপরিস্ফুট, লাবণ্যের মতই তা যেন