পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক Q> জলে থাকে মাছ । তাকে আকর্ষণ করবার জন্য বড়শী ফেলে চতুর শিকারী ফাংলার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে’ গ্রীষ্মে বর্ষায় বসে থাকে দিনের পর দিন । গভীর অরণ্যচারী চঞ্চল হরিণকে বাণবিদ্ধ করবার জন্য শিকারী কি অশেষ পরিশ্রম স্বীকার করতে প্রস্তুত থাকে ! হঠাৎ যে ধরা দেয় তাকে ধরায় কোন আনন্দ নেই । যে একেবারেই ধরা দেবে না, তার পিছনে মিথ্যা পরিশ্রম ক্লেশকর । যে ধরা-অধরায় পিচ্ছিল হয়ে রযেছে, তাকে ধরবার জন্যই আসে মনের আগ্রহ । এই আগ্রহ যে শুধু নারীর মনেই থাকে তা নয়, অবোধ পুরুষও মনে করে যে সে তাব সমীপস্থ নারীকে আবিষ্কার করছে । কিন্তু নারীকে এইজন্যই বলা যায় মায়াবিনী যে সে অনেকদূর পর্যান্ত তার মায়াজালকে ব্যাপ্ত করে’ও নিজে থাকতে পারে সে মায়ার বাইরে । স্বয়ং-প্রসারিত মায়ু দ্বারা সে যে সহসা ধরা পড়ে না এইখানেই তার পটুত্ব । পুরুষ যখন চায় নারীকে আবিষ্কার করতে, ফাস লাগে তার গলায় । নারীর মায়া তাকে টেনে নিয়ে যায় তার দিকে, কিন্তু পুরুষ যখন এমনি করে’ আক্লষ্ট হ’তে থাকে তখন সে সেই টানেই ছুটতে থাকে তার দিকে, কিন্তু নিজের মনকে বোঝায় যে সে চলেছে নারীকে আবিষ্কার করতে । সে মনে করে যে সে তলিয়ে দেখবে যে তার নিক্ষিপ্ত দু’একটা বাণে নারী কতদূর বিদ্ধ হ’ল, কিন্তু আসলে তার অজ্ঞাতে সে চলেছে নারীর মায়াকুহকের অতল গহ্বরে । নারীও যখন মায়াজাল পাতে তখন তার আপন জালে যে কখনও তার পা জড়িয়ে যায় না তা নয়, কিন্তু যে সব মেয়ে এই মায়াবিনী জাতের, তারা ধরে কিন্তু সহজে ধরা দেয় না । খেলার যেমন একটা স্বাভাবিক লীলা আছে, সে লীলার বাইরে কোন উদ্দেশ্য নেই, এ ঠিক সে জাতীয় লীলা নয় ; অথচ ভালবাসায় যে আপনাকে ছেড়ে দিয়ে, আপনাকে সম্পূর্ণ