পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক با ع\ পারে, অথচ এমন কোনও অকাট্য প্রমাণ পাওয়া যেত না যার দ্বারা এই ভালবাসাকে কোনও একটা বিশেষ পর্য্যায়ের মধ্যে ফেলা যায় । সুজাতার হৃদয়ে গোপমে সুকুমারের প্রতি কি ভাব গড়ে উঠছে তা আবিষ্কার করবার জন্য মঞ্জরীর মনে ছিল অসীম কৌতূহল, অথচ এই কৌতুহলটি যে একান্তভাবে সত্য আবিষ্কারের বৈজ্ঞানিক কৌতুহল তা বলা যায় না । সুজাতার ধরণের মেয়ে সে পূর্ব্বে কখনও দেখে নি, তাই সে ছিল তার কাছে একটা হেঁয়ালি হয়ে । - কিন্তু তার প্রখরতর দৃষ্টি ছিল সুকুমারের প্রতি । তার মনে হ’ত যেন সুকুমার তাকে আমলই দেয় না । মুকুমারের ব্যবহার ছিল অত্যন্ম মধুর ও অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল, কিন্তু সে ব্যবহারকে একটা অসীম সৌজন্য ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না । তার প্রত্যেকটি ব্যবহারে সুজাতার প্রতি একটা গাঢ় স্নেহ প্রকাশ পেত, অথচ এই গাঢ় স্নেহকে কি পর্য্যায়ের মধ্যে ফেলা যায় তা আবিষ্কার কর ছিল কঠিন । সে ভালবাস ভগিনীর প্রতি ভাইয়ের ভালবাসাব চেয়ে যে অন্য রকমের তা জোর করে বলা চলত না । সুজাতার সামনে এলেই মুকুমারের মুখখানি উদ্ভাসিত হয়ে উঠত একটি স্নিগ্ধ আলোতে । চতুর মঞ্জরী নানা কথাব টোপ ফেলে চেষ্টা করত সেই আলোর নিবিড় রহস্য ভেদ করতে । সে অনুভব করত যে এ আলো সেই আলো নায় যে আলো উদার ভাবে ছড়িয়ে পড়ে আকাশে বাতাসে, নদীর জলের উপর ওঠে ঝিকমিক্‌ করে এবং দূর্ব্বার ক্ষেত্রে পড়ে স্নিগ্ধ হয়ে । এ আলো যেন সেই আলো যে আলো রাত্রির শেষ যামে অন্ধকারের মধ্য দিয়ে অতি গোপনে নিঃশব্দ পদসঞ্চারে চলে’ আসে, স্পশ করে অতি সন্তপণে ফুটনোন্মুখ পুষ্পরাজির পেলব পত্রদল, অতি মুছভাবে স্পদিত হয় ফুলের ঘুম-ভাঙানোর জন্য, অসীম কৌতুহলে ও অসীম