পাতা:অনাথবন্ধু.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম খণ্ড-তৃতীয় সংখ্যা । ] -- Zuxka ---- ܚܣܚܝܣ -ܫܚܫ̈ܚ s BBSYYS DD DB BDDB D DSDBDDD BDBDBDt S বিষয়তৃষ্ণা ও বিষয়াসক্তিই রজোগুণের ফল। এই বিষয়তৃষ্ণায় ও বিষয়াসক্তির ফলে মানুষ বিষয়কর্ম্মে প্রবৃত্ত হয়। শৌর্য্য, বীর্য্য, অহঙ্কার, চাঞ্চল্য, যত্ন, কার্য্যদক্ষতা, প্রভুত্ব, তাড়নশীলতা, স্বার্থপরতা প্রভৃতি রজোগুণ হইতে উদ্ভূত। ইহা সংসারে আসক্তি জন্মাইয়া মানুষকে বদ্ধ マFび奈 | তমোগুণ কাহাকে বলে ?-- তমত্ত্বজ্ঞানজং বিদ্ধি মোহনং সর্ব্বদেহিনাম। ७वभावाश्टनिष्पांडिडब्रिदश्रांडि डांद्वड ॥ হে ভারত ! তমোগুণ অজ্ঞান হইতে জন্মে ; ইহা সকল জীবকে ভ্রান্ত করিয়া ফেলে। ইহা প্রমাদ, আলস্য ও নিদ্রাদ্বারা জীবকে বদ্ধ করে । এই গুণ জ্ঞানকে আচ্ছন্ন করিয়া ফেলে। ইহা সর্ব্বজীবকে মোহাচ্ছন্ন করিয়া ফেলে। তমোগুণগ্রস্ত লোকের জ্ঞানবুদ্ধি কিছুই থাকে না ; ইহার কোন বিষয়ে মনোযোগ দিতে পারে না ; একনিষ্ঠ হইয়া কোন কার্য্যে আত্মনিয়োগ করিতে পারে না ; কেবল শবের ন্যায় পড়িয়া নিদ্রা যায়, ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবিতে পারে না । তমোগুণগ্রস্ত লোকেরা আপনাদের দেহের ভিতর যেন ডুবিয়া থাকে। ইহারা জ্ঞানহীন, উপ্তমশুন্য, অকর্ম্মণ্য জীব হইয়া পড়ে। বিষন্নতা, অবসাদ, উৎসাহশূন্যতা, মুঢ়তা, সঙ্কীর্ণতা প্রভৃতিই তমোগুণের কার্য্য। এই ত্রিগুণেই জীব বদ্ধ অর্থাৎ প্রকৃতি বা মহামায়া তিনগাছা দাড়া দিয়া জীবাত্মাকে বদ্ধ রাখিয়াছেন। কোন জীবেই কেবলমাত্র একটি বা দুইটি গুণ নাই,-থাকিতে পারে না। প্রদীপে যেমন তৈল, সলিতা ও অগ্নি এই তিনটি ংযোগে আলোক হয়, একটার অভাবেই আলো নিবিয়া যায়, সেইরূপ এই তিনটি গুণেরই কিছুনা-কিছু না * থাকিলে জীব থাকে না । অত্যন্ত নিয়শ্রেণীর কীট-পতঙ্গেরও ܦ ܒܣܚܝܚܫܒܚܒ ܫܒܝܣܦ ܚܫܚܘ সনাতন হিন্দুধর্ম্ম । yOS ܩܦܡܩܝܣܡܒܝܚܫܩܝܣܡܘ এই তিনটি গুণই কিছু না-কিছু আছেই আছে। সাংখ্যদর্শন বলেন যে,- প্রত্যপ্রীতিবিষাদাত্মকাঃ প্রকাশপ্রবৃত্তি নিয়মার্থাঃ । অন্যোন্যাভিভবাশ্রয়জনন-লিখুন বৃত্তয়শ্চ গুণাঃ ॥ সত্ত্বগুণ প্রতিস্বরূপ, রজোগুণ অগ্রীতি অর্থাৎ দুঃখস্বরূপ আর তমোগুণ মোহস্বরূপ । সত্ত্বগুণের প্রয়োজন প্রকাশ, রজো গুণের প্রয়োজন কর্ম্মে প্রবৃত্তি, আর তমোগুণের প্রয়োজন কর্ম্মে প্রবৃত্তির প্রতিকুলাচরণ। এই তিন গুণের বৃত্তি এই যে, ইহারা পরস্পর পরস্পরকে অভিভূত করে। পরস্পর পরস্পরকে আশ্রয় করে, পরস্পর পরস্পরকে উৎপাদন করে এবং পরস্পর পরস্পরের সহিত মিলিত হয়। গীতাতেও ঠিক ঐ কথাই বলা হইয়াছে। এই ত্রিগুণের কথা গীতার চতুৰ্দশ অধ্যায়ে বিশেষভাবে বর্ণিত আছে। দেহী অর্থাৎ জীবমাত্রেরই এই তিনগুণ কিছুনা-কিছু পরিমাণে বর্ত্তমান আছে। তবে তন্মধ্যে কেহ সত্ত্বগুণ।প্রধান, কেহ রজোগুণ প্রধান, কেহ বা তমোগুণ প্রধান । নিম্নস্তরের জীবের মধ্যে তমোগুণ অধিক ; জীব যত উচ্চস্তরে উঠতে থাকে, ততই তাহার রজোগুণ অল্পে অল্পে বৃদ্ধি পাইতে থাকে; রজোগুণ বৰ্দ্ধিত হইয়া তমোগুণকে অভিভূত করে। মানুষের মধ্যেও অধিকাংশই রজোগুণ প্রধান। যুরোপে রজোগুণেরই আদর অধিক। যাহার কর্ম্মী, তাহাদের রজোগুণই প্রবল হয়। কিন্তু মুক্তি পাইতে হইলে এই গুণ তিনটিকেই ছেদন করিতে হয়। প্রত্যেক গুণ বৰ্দ্ধিত করিতে হইলে তাহার অনুকুল সাধনা করা আবশ্যক। রজোগুণের বৃদ্ধি করিতে হইলে রাজসিক আহার ও রাজসিক আচার গ্রহণ করিতে হয় ; রাজসিক দেবতার অৰ্চনা করিতে হয়। সত্ত্বগুণকে বৃদ্ধি করিতে হইলে সাত্ত্বিক আহার ও সাত্বিক আচার গ্রহণ করা অবশ্য কর্ত্তব্য। ইহাই হিন্দুর माक्षन्मदछछ ।