পাতা:অনাথবন্ধু.pdf/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবধর্ম্ম । ! শ্রী তারা । ] গৌর-নিতাই । নারদাদি ভক্তবৃন্দের চরণ স্মরিয়া । শ্রীবৈষ্ণবধর্ম্ম আমি কহি প্রকাশিয়া ৷ শ্রী গুর" রাণীর্ব্বাদে পূণ হব কাম । জগন্নাথ মোর পূরাবেন মনস্কাম ৷ জয় জয় শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য জয় গৌরভক্তগণ । জয় শ্রীবাসাদি ভক্তবৃন্দ জয় শ্রীশচীনন্দন ॥ ব্রাহ্মণের আদেশে আমি শ্রীবৈষ্ণবধর্ম্ম আলোচনায় প্রবৃত্ত শুইলাম। আমি প্রথমেই ভূদেব ব্রাহ্মণগণকে ও বৈষ্ণবগণকে প্রণাম করিতেছি । কৃষ্ণ বিনা কৃষ্ণভক্তি কাহার শকতি বুঝায় ? দেয় কৃষ্ণ প্রেম-ভক্তি আমেয় । বিনা কৃষ্ণকৃপা বুঝিবারে কৃষ্ণপ্রেম নাতিকে শকতি কারো । গুরু কৃপাবলে যদি পায় কৃষ্ণভক্তি, কৃষ্ণ করে কৃপা তারে । প্রাণবস্বরূপ ব্রহ্মণদেবকে প্রণাম করিতেছি এবং মোক্ষপ্রদ জীবের পাপতাপহার শ্রীবৈষ্ণবধর্ম্ম ব্যাখ্যা করিবার জন্য আদিষ্ট হইয়া শ্রীহারির চরণে কৃপা প্রার্থনা করিতেছি। ংসারী বদ্ধজীব নিয়ত কামরাগে অনুক্ষণ মোহগ্রস্ত,-এ হেন জীব কি করিয়া শ্রীভগবানের অতুল চরিত্র ও ধর্ম্ম বাখ্যা করিবে ? তবে যদি ব্রাহ্মণের ও শ্রী গুরুকৃপায় এই দুস্তর ভবাসাগরে শ্রীকৃষ্ণচরণতরী অবলম্বন করিতে পারি, তাহা উইলে সেই চরণকৃপায় শ্রীধর্ম্মের কিঞ্চিৎ ব্যাখ্যা করিতে পারিব। আজ আমিই ধন্য, কেন না, আজ পত্রে পত্রে অক্ষরে অক্ষরে- প্রত্যেক কালির রেখায় রেখায় আমি শ্রীভগবানের নাম স্মরণ করিয়া অদ্য মোক্ষধর্ম্ম ব্যাখ্যা করিব । বৈষ্ণবধর্ম্মকে কেন মোক্ষধর্ম্ম বলিলাম ?—কারণ, যোগমায়া শ্রীবিষ্ণুকে ও আচ্ছন্ন করেন। কিন্তু বিষ্ণুর ভক্ত সেই যোগমায়াকে ও পরাভব করিয়া অনায়াসে মোক্ষ লাভ করে । “অনায়াসে জীব পায় শ্রীহরিচরণ ।” সনাতনকাল হইতে যে ধর্ম্ম ও যে উপাসনা আমাদের দেশে চলিয়া আসিয়াছে, যে উপাগন্তদেবতার চরণকমলে ভক্তিপুষ্পাঞ্জলি দিয়া আর্যোরা জীবন ধন্য করিয়াছেন, সে ধর্ম্ম কি, সে উপাসনা কি এবং সেই উপাস্য কি ? চম্পক-সোণ-কু- दूरभ कनकi52 জিতলে গৌরাতনু-লাবণি রে । छझड 5ीग नींभ माछि अग्नु छन् জগমনমোহন ভাঙনী রে ৷ জয় শচীনন্দন রে । ত্রিভুবনমণ্ডন কলিযুগ কাল । ভুজগ-ভয়খ গুন রে । “জয় শচীনন্দন ত্রিভুবনবন্দন কলিঘগকাল-ভুজগভয়খণ্ডন ৷” কবি শচীনন্দন শ্রীশ্রীমঙ্গা প্রভু শ্রীশ্রীকৃষ্ণচৈতন্যদেবকে বন্দনা করিয়া বলিতেছেন, কলিন্সগ-কালভূজগের ভয় হইতে একমাত্র উদ্ধারকারী জয় জয় শ্রীশচীনন্দনকে বন্দনা করি । ইহাতে ও বুঝাইতেছে যে, শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য বা নিমাই পণ্ডিত এমন কি জিনিষ জগৎকে দিয়াছেন, এই নিকৃষ্ট কলিযুগে ক্রুরসৰ্পবং যখন জীবাদি *িংসাদোষে পরিপূর্ণ হইবে, তখন মহা প্রভুদত্ত ধর্ম্মের আশ্রয় গ্রহণ করিয়া জীব সর্ব্বভয় দূর করিবে। সেই ধর্ম্ম বৈষ্ণবধর্ম্ম । শ্রীমদ্ভাগবতেই আমরা প্রথম এই বৈষ্ণবধর্ম্মের ব্যাখ্যা পাই। দ্বাপরে মহারাজ পরীক্ষিতকে শ্রীমন ভগবান শুকদেব এই বিষ্ণুকথামৃত ভাগবত গ্রন্থ শ্রবণ করান এবং শ্রীমদ্ভাগবত শ্রবণদ্বারাই তিনি অচিরে বিষ্ণুলোক বা মোক্ষত্ব প্রাপ্ত るみ{ | আদিকালে নারদাদি ঋষিগণ পরম বৈঞ্চব ছিলেন এবং বিষ্ণুনামকীর্ত্তন, বিষ্ণুনামগান করিয়া জগৎ লমণ করিতেন । মধ্যযুগে অর্থাৎ যুধিষ্টিরাদির সময়ে ভগবান পূর্ণব্রহ্ম নারায়ণ আপনার সৃষ্টিকে রক্ষা করিবার জন্য এবং ধর্ম্মস্থাপনের জন্য জগতে শ্রীকৃষ্ণরূপে অবতীর্ণ চন। কারণ