পাতা:অনাথবন্ধু.pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

gha প্রথম খণ্ড-তৃতীয় সংখ্যা । ] Adis- ashah حصہ गांठ|द्विशी । 8(t -Ikaskea r re -rr "كـ == ম্যালেরিয়া কেমন করিয়া হয় ? উপরে যে সকল বৃত্তান্ত দেওয়া গেল, ইহাদের মধ্যে একটিও অনুমানমূলক বা কল্পনা প্রসুত নহে। ইহার প্রত্যেক ঘটনাই চক্ষুর গোচরীভূত এবং যে কেহ ইচ্ছা! করিলে উহার বর্ণ ও ছত্র স্বচক্ষে দেখিয়া প্রমাণ করিয়া লাইতে পারেন। পাশ্চাত্য চিকিৎসাশাস্ত্রের আবিষ্কৃত ঘটনাগুলির মধ্যে ম্যালেরিয়াসংক্রান্ত তথ্যগুলির মত ধ্রুব সত্য অল্পই আছে। আর আজ তথাকথিত শিক্ষার গরিমা লইয়া ঘোর কুসংস্কারপন্ন—আত্মম্ভরিতাপূর্ণ বঙ্গবাসী সেই সত্যকে উপহাস করিয়া জগতের মধ্যে নিজেই সর্ব্বাপেক্ষা উপহাসিত ও স্বখাতসলিলে নিমজ্জিত ! ম্যালেরিয়া-তথ্যে বিশ্বাস না করিলে বিশেষ ক্ষতি কাহার ? আমরা এই ধ্রুব সত্য একবারে আজিও গ্রহণ করি নাই বলিয়া আমাদের দেশে ম্যালেরিয়ার “চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ;” আর যে সকল BDBBDS S DDDD g DBBDBS BDD BDBBDDkS S DBDBB S BDBD ম্যালেরিয়ামুক্ত। আজ তাই করযোড়ে বলি,--“হে বাঙ্গালী, ভুলিয়া যাও যে, দূষিত বায়ু সেবন করিলে ম্যালেরিয়া হয়, ভুলিয়া যাও যে, দূষিত জল পান করিলে ম্যালেরিয়া হয় ; ভুলিয়া যাও যে, কোনও স্থানবিশেষের জল পান না করিলে ম্যালেরিয়ার হাত এড়াইতে পারা যায়। ধ্রুব সত্য জানি ও যে, মশক ব্যতীত ম্যালেরিয়ার বিস্তৃতি অসম্ভব ! ! !” এই স্থলে অনেকে হয় তা গম্ভীরভাবে সস্তার পাণ্ডিত্যের লোভ সামলাইতে না পারিয়া বলিবেন, —“অমুক গ্রামে আদৌ মশক নাই, অথচ ম্যালেরিয়া ঘরে ঘরে।” এই কথার উত্তরে আমার বক্তব্য এই যে, বাঙ্গালীর জাতীয়স্বভাব এষ্ট-- আমরা বিশেষ আয়াস স্বীকার না করিয়াই অনেক মত প্রচার করিয়া বলিয়া থাকি—যেন সে সব আমাদের নিত্য প্রমাণিত ধ্রুব সত্য, অথচ সে সম্বন্ধে আমাদের সাক্ষাৎসম্বন্ধে কোন ও জ্ঞান হয় তা নাই ! এইরূপ কাণ্ডজ্ঞানহীন দন্তোক্তি বাদ দিলেও আমাদের স্পষ্টই বলিতে হইবে যে, যদিও মশক ৭্য তীত ম্যালেরিয়া অপর কাহারও দ্বারা বিস্তৃতি লাভ করে না, তথাপি সেই সঙ্গে আমাদের আরও কতকগুলি সর্ত্ত বলিয়া দেওয়া উচিত অর্থাৎ মশক ও মানুষ এক ধায়গায় হইলেই যে ম্যালেরিয়া হইবে, এমন কথা নাই । এই এই সর্তগুলি সেই সঙ্গে বর্ত্তমান থাকা প্রয়োজন। | :- (১) ম্যালেরিয়াগ্রস্ত রোগীকে মশক দংশন করা bथे । (২) সে মশক এনোফিলিসশ্রেণীর ও তৎশ্রেণীর ক্ষ্মী-জাতীয় হওয়া চাই। (৩) এনোফিলিস স্ত্রী মশক যে সকল স্ত্রী ও পুরুষ, ঈীবাণুকে নিজদেহমধ্যে গ্রহণ করিবে, সেগুলি পরিণতবয়স্ক স্ত্রী ও পুরুষ হওয়া চাই অর্থাৎ শিশু স্ত্রী জীবাণু ও [૭૧] =mam ak Mahkan ܣܦܩܝܣܩܦܚܝܣܚܩܡܩܡܣ ver r ~ শিশু পুং-জীবাণু সঙ্গত হইলেও গর্ভসঞ্চার হয় না-উভয়েরই যৌবনপ্রাপ্তি হওয়া চাই। (৪) যে স্ত্রীজাতীয় এনোফিলিসের দেহে জীবাণুর প্রাপ্তযৌবন স্ত্রী ও পুরুষের সঙ্গম ঘটিয়াছে, সেই সঙ্গমের ফলে সেই মশকের লালাগ্রন্থিতে জীবাণু শিশু বহুলসংখ্যায় উপস্থিত থাকা চাই; নতুবা, মশক যখন মানুষকে দংশন করিবে, তখন লালার সঙ্গে শিশু-জীবাণু নরদেহে প্রবিষ্ট না হইলে ম্যালেরিয়া হইবে কেন ? অতএব দেখা যাইতেছে যে, সুস্থ ব্যক্তির ম্যালেরিয়া হইতে হইলে (১) যে ম্যালেরিয়াগ্রস্ত রোগীর দেহে ম্যালেরিয়াজীবাণুর প্রাপ্তযৌবন স্ত্রী ও পুরুষের সৃষ্টি হইয়াছে, সেই ব্যক্তিকে (২) স্ত্রীজাতীয় এনোফিলিস মশক দংশন করিবে এবং ঐ দংশনের অন্ততঃ সাত দিন পরে, বিশেষতঃ দশম কি দ্বাদশ দিবসে (৩) সুস্থদেহ ব্যক্তিকে কামড়ান চাই । এতগুলি সর্ভ সকল সময়ে পালিত হওয়া সুকঠিন এই জন্য গ্রামবিশেষে লক্ষ লক্ষ মশক নিত্য সকলকে দংশন করিলেও ম্যালেরিয়া না হইতে পারে ; যে হেতু, প্রথমতঃ তাহার মধ্যে একটিও এনোফিলিসজাতীয় মশক না থাকিতে পারে ; দ্বিতীয়তঃ এনোফিলিসজাতীয় মশক বর্ত্তমান থাকিলেও তাঁহাদের মধ্যে স্ত্রীজাতীয় এনোফিলিস DBuBB DDD DBBDBD YBDS S DDBDBDS gDBBBDB স্ত্রী-পুরুষ-জীবাণুবাহী একটিও ম্যালেরিয়াগ্রস্ত রোগী সেখানে না থাকিতে পারে ; যেগুলি ম্যালেরিয়ায় ভুগিতেছে, হয় ত তাহাদের দেহে কীবজননের ফলস্বরূপ কীবজীবাণুই আছে ; চতুর্থতঃ, যে এনোফিলিস মশকীর দেহে জীবাণুগণের দাম্পত্যজনন সংসাধিত হইতেছে, তাহার দেহে হয় ত তখনও জীবাণু-শিশু ভূমিষ্ট হয় নাই! পক্ষান্তরে এমন দেখা গিয়াছে যে, কোনও সুস্থ ব্যক্তি হয় ত গোণা পাচ মিনিটের জন্য কোনও ম্যালেরিয়া-বহুল স্থানে গিয়াছিল বলিয়া ম্যালেরিয়াগ্রস্ত হইয়াছে। ইহার কারণ আর কিছুই নহে-কেবল এই যে, যে দণ্ডে সে ব্যক্তি গিয়া পৌছাইয়াছে, সেই দণ্ডেই যে এনোফিলিস মশকী। সদ্যঃপ্রসূত জীবাণু-শিশু স্বীয় লালাগ্রন্থিতে লইয়া প্রস্তুত ছিল, সে দংশন করিয়াছিল ! লীলাময়ের কি বিচিত্র লীলা । ম্যালেরিয়া-নিবারণের উপায় । ম্যালেরিয়ার কারণ কি এবং কি কি অবস্থায় ম্যালেরিয়া হয়, উপরে তাহার আলোচনা করা গিয়াছে। সেগুলির প্রতি দৃষ্টি রাখিলে আমরা বেশ বুঝিতে পারি যে,ম্যালেরিয়ানিবারণ করিতে হইলে চারিটি জিনিষ একত্র করিতে হয়। সেই চারিটি কাব্য এই :-