পাতা:অনাথবন্ধু.pdf/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পল্লীবাসীর পত্র। [ শ্রীনটাবর বন্দ্যোপাধ্যায়, এল টি, লিখিত । ] भrigव्यड़िशा N9 डांक्षांप्रभां । শ্রাবণ সংখ্যার “অনাথবন্ধু” নামক প্রসিদ্ধ মাসিক পত্রে ডাক্তার শ্রীযুক্ত রমেশচন্দ্র রায় মহাশয় ম্যালেরিয়াসম্বন্ধে একটি বিস্তৃত প্রবন্ধ লিখিয়াছেন। তঁহার প্রবন্ধে ম্যালেরিয়ার ইতিবৃত্ত, স্বরূপ, বিশেষতঃ কারণনির্ণয়সম্বন্ধে যে সকল আলোচনা হইয়াছে, তৎসম্বন্ধে আমাদের কয়েকটি কথা বলিবার আছে। আশা করি, এ বিষয়ে পল্লীগ্রামবাসী ভুক্তিভোগীর ধারণা কতটা যুক্তিযুক্ত, সহৃদয় পাঠকবর্গ তাহার বিচার করিবেন। রায় মহাশয় বলেন,-“কি শিক্ষিত, কি অশিক্ষিত-সকল ব্যক্তিই মনে করেন যে, দূষিত বায়ু সেবন ও জলপান করিলেই ম্যালেরিয়া হয়, মিশকের ব্যাপারটা ষোল আনাই ধাপ্লাবাজী ইত্যাদি।” মশাককুল নির্ম্মল করিলেই যদি দেশ হইতে ম্যালেরিয়া বিদূরিত হুইত, তবে বোধ হয়, একটা কথা সাহস করিয়া জিজ্ঞাসা করিতে পারি,-ম্যালেরিয়া বিস্তৃতির পূর্ব্বে দেশে কি মশাককুল ছিল না ? যদি মশক না থাকিত, তবে “মশারি” কথাটি অভিধানে স্থান পাইত না । উৰ্দ্ধতন দুই তিন পুরুষ যাবৎ ব্যবহৃত মশারি এখনও কাহারও কাহারও গৃহে দেখিতে পাওয়া যায়। রায় মহাশয়ের বিবৃতি-অনুসারে দেখিতে পাই যে, ম্যালেরিয়ার আবির্ভাব অপেক্ষাকৃত আধুনিক। সুতরাং বলিতে হয় যে, মশক থাকিলেই যে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব ঘটবে, এমন কোন কথা নাই। আসাম অঞ্চলে মশকের অত্যন্ত প্রাদুর্ভাব। এমন কি, স্থলবিশেষে ঐ অঞ্চলে BBDBDKK DOB DDDD DBBBD DS DBB DBD ম্যালেরিয়ার প্রকোপ নাই বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। কালাজ্বর তা আজকাল কেবল নামমাত্রে পর্য্যবসিত হইয়াছে। কালাজ্বর অপেক্ষা বরং আসাম অঞ্চলে বসন্ত ও রক্তামাশয় রোগের অতিবিস্তৃতি দেখা যায়। এই সকল দেখিয়া ম্যালেরিয়ার বিস্তৃতি যে মশকের দ্বারা নিম্পন্ন হয়, এ কথা বিশ্বাস করিতে প্রবৃত্তি হয় না। আমাদের মনে হয়, পল্লীগ্রামে ম্যালেরিয়া-বিস্তুতির অন্যান্য কারণ বর্ত্তমান রহিয়াত ছ। সহরের উপর কোথাও বেশী ম্যালেরিয়া দেখা যায় না । পল্লীগ্রামে ম্যালেরিয়াবিস্তৃতির প্রধান কারণশিক্ষিত ও ধনী ব্যক্তিগণের পল্লীগ্রামের বসবাস পরিত্যাগ । গ্রামে ধনিগণ বসবাস না করাতে গ্রাম্য রাস্তাগুলির অবস্থা নিতান্ত শোচনীয় হইয়া দাড়াইয়াছে। বৎসরের মধ্যে ৫/৬ মাসকাল গ্রাম্য রাস্তাগুলি জলে নিমজ্জিত থাকে অথবা কৰ্দমাবহুল হইয়া চলাচলের অযোগ্য হইয়া উঠে। ঈদৃশ রাস্তায় চলাচল করিয়া লোকের স্বাস্থ্যহানি ঘটে এবং শরীর অবসন্ন হইয়া উঠে। দ্বিতীয়তঃ, রেল কোম্পানী নিজ স্বার্থ রক্ষার জন্য দামোদরের ন্যায় বৃহৎ নদের এক তীরের বাধ কাটাইয়া দিয়াছেন। বর্ষাকালে জলপ্লাবনে এই সকল দেশ সম্পূর্ণরূপে পযুদস্ত হয়। বিগত ১৯১৪ সালের দামোদরের বন্যার কথা যাহাঁদের স্মরণ আছে, তাহারা এই উক্তির যাথার্থ্য অবশ্যই উপলব্ধি করিবেন। প্রতি বৎসর এই ভাবে বন্যা হওয়ায় বাধহীন গ্রামগুলির চতুঃপাশ্বের মাঠ, গ্রামের মধ্যস্থল অপেক্ষা ক্রমশঃ অনেক উচ্চ হইতেছে ; সুতরাং প্লাবনের সময় গ্রামের মধ্যস্থলে যে বন্যার জল প্রবিষ্ট হইতেছে, তাহা আর গ্রাম হইতে বহির্গত হইতেছে না ; গ্রামের ভিতরেই ঐ জল বৎসর বাপিয়া পচিতেছে, মজিতেছে এবং বিষাক্ত বাম্পের কেন্দ্রস্থল হইতেছে! অশিক্ষিত নিধন পল্লীবাসিগণ জলনিষ্কাশনের কোনই উপায় করিতে পারিতেছে না। গ্রামগুলি ক্রমেই সেঁতা হইতেছে এবং অচিরাৎ বসবাসের সম্পূর্ণ অযোগ্য হইয়া উঠিতেছে। পুনরায় গ্রীষ্মের প্রারম্ভেই সংস্কারাভাবে গ্রামের দীর্ঘিকা ও পুষ্করিণীগুলি শুষ্ক হয় এবং দরিদ্র গ্রামবাসিগণ দুৰ্গন্ধযুক্ত-বিষাক্ত-পচা জল স্নানপানার্থ ব্যবহার করিতে বাধ্য হয়। এই সকল কারণ বর্ত্তমান থাকিতে গ্রাম গুলি যে রোগের “কুঠী” হইবে, তাহাতে আর আশ্চর্য্য তইবার কারণ কি ? আবার কালপ্রভাবে লোকের মতিগতি অন্য প্রকার হইয়াছে। ধর্ম্মে লোকের তাদৃশ আস্থা নাই--- অথবা আস্থা থাকিলেও কোন কার্য্য করিলে ধর্ম্মও হয়, দেশের উন্নতিও হয়, তদ্বিষয়ে বিবেচনা করিয়া কেছ কোন কার্য্য করেন না। তখনকার ধনিগণ পুষ্করিণীপ্রতিষ্ঠা, কৃপ প্রতিষ্ঠা প্রভৃতি সৎকার্য্যে বহু অর্থব্যয় করিতেন। কিন্তু আজকালকার ধনিগণ পল্লীগ্রাম ত্যাগ করিয়া সহচরেই বসবাস করেন—কলের জল পান করেন । যতদিন পর্যন্ত ধনী ও শিক্ষিত ব্যক্তিগণ পল্লীগ্রামে বসবাস না করিবেন, JBB BuBBSDB DDDDB BDD DBuD DDD S BDYS পক্ষে শিক্ষিত ব্যক্তিগণ ৩০.৪০ টাকা বেতন পাইলেই সহরাঞ্চলে একখানা বাড়ী কিনিবার চেষ্টায় থাকেন। র্তাহারাও পাড়াগায়ের নামে শিহরিয়া উঠেন। নিজেদের সমবেত চেষ্টায় যে পল্লীস্বাস্থ্যের অনেক উন্নতি হইতে পারে, এ কথা একবার শিক্ষিত ও ধনিসম্প্রদায় ভাবিয়া দেখেন না । ফুলতঃ শিক্ষিত ও ধনিসম্প্রদায় পল্লীগ্রাম পরিত্যাগ করাতে গ্রামগুলির যে দুরবস্থা হইতেছে, তাহা বর্ণনা করা দুঃসাধ্য। ডাক্তার রায় মহাশয় বলেন, “ভারতবর্ষে ধারাবাহিক