পাতা:অনাথবন্ধু.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুষ্টিযোগ-টােটুকা ঔষধ। [ব্রহ্মচারী শ্রীযুত দুর্গাদাস কর্তৃক লিখিত । ] কতকগুলি প্রত্যক্ষ ফলপ্রদ টোটুকা ঔষধ জানা থাকিলে অনেক সময়েই ডাক্তার কবিরাজ ডাকিতে হয় না এবং স্বচেষ্টায়ই আরোগ্যলাভ করা ষায় । আহারে।-বিহারে সংযত হইতে পারিলে এবং বাক্য ও মন সংযত হইলেও মানুষ অনেকটা নীরোগ হইতে পারে। আমাদের দেহ একটি যন্ত্রবিশেষ । এই দেহযন্ত্রটিকে সর্ব্বদাই পরিষ্কৃত, পরিচ্ছন্ন ও নির্দোষ ৰাখিতে হয়, নতুবা মলিন বস্ত্র। যেমন ত্বরায় ছিন্ন হইয়া যায়, তদ্রুপ এই ময়লাপুর্ণ দেহও দ্রুত নষ্ট হইয়া যায়। आंभात दांक्रांव्गांव्र शृंश्ब्र श्रद्दब्र निडारे ६कांना ना কোন একটি রোগ লাগিয়াই আছে । বিশেষতঃ শিশুগণ ত আজকাল মায়ের পেট হইতে পড়িয়াই দেহভরা রোগ লইয়া জগতে আসে। ঐ সকল শিশুর পীড়ায় ডাক্তারী কবিরাজী তীক্ষ্ণ ঔষধগুলি ব্যবহৃত হইয়া শিশুদের দেহকে অকালেই নষ্ট করিয়া দেয়। আমরা বঙ্গ-গৃহিণীগণের এবং বঙ্গ-বধুমাতা ও কন্যাগণের সুবিধার জন্য সরল চিকিৎসা ও মুষ্টিযোগসম্বন্ধে কিছু লিখিতেছি। আশা করি, জননীগণ সর্ব্বদা সে সকল ব্যবহার করিয়া শিশুদিগের দেহ নীরোগ করিবেন এবং আপনারাও নীরোগ হইয়া শান্তিতে জীবনযাপন করিবেন । বিধাতার নিকট প্রার্থনা করি যে, তাহার কৃপায় গৃহস্থগণের সুবুদ্ধি হউক। দেহ মনকে সুস্থ রাখিবার জন্য গৃহস্থ্যগণ যেন বিলাস-ব্যসনে কখন মন না ब्रिों नदी क्षेश्द्धस्gि ७ लेश्वद्भक्षाान कएलन । এই দেহকে সর্ব্বদা সুস্থ ও নীরোগ রাখিতে হইলে । ব্রহ্মচর্য্যই প্রধান মুষ্টিযোগ। কি স্ত্রী, কি পুরুষ, সকলেই আহার-বিহার-বাক্যে মনে সংযত হইলেই নীরোগ হইতে পরিবেন ।

  • সর্বদা কোষ্ঠ শুদ্ধি যাহাতে থাকে, তাহাই করিতে হুইবে । দাস্ত সাফ থাকিলে কোন রোগই আসিতে পারে না ।

পেট ঠাণ্ডা থাকিলেই অর্থাৎ বায়ু পিত্ত-কফ কুপিত না কইলেই পেট ঠাণ্ডা থাকিবে, পেট ঠাণ্ডা থাকিলেই মাথাও শীতল থাকিবে, মাথা ঠাণ্ডা থাকিলে মনও শান্ত থাকিবে, মন সর্ব্বদা সন্তুষ্ট থাকিলে দেহ নিশ্চয়ই সুস্থ থাকিবে। ; : আমরা অনাবশ্যক কতকগুলি অভাব সৃষ্ট করি এবং সেই অভাব পূর্ণ না হইলেই মাথা খারাপ করিয়া ফেলি। অভাবজ্ঞান যত কম হইবে অর্থাৎ প্রাপ্ত দ্রব্য DD DDD BDBD BBB DBDS BDBD Bu gBDD দেখিবে, প্রাণে কেমন নির্ম্মল আনন্দভোগ করিতেছি। অতএব অভাবৰোধ কমাইবে। : শিশুদিগের জন্মের পরই তাহাদের আহারের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখিবে এবং প্রসুতিকে আহারে সংযত হইতে হইবে, নতুবা প্রস্থতির দেহের রোগ অনায়াসে শিশুর শরীরে আসিতে পারে । শিশুদিগের সর্দিজরে তুলসীপাতার রস ও মধু। বেশী সর্দি থাকিলে আদার রস ও মধু সকাল বেলা সেবন করাইবেন । দুগ্ধে পিপুল সিদ্ধ করিয়া সেই দুগ্ধ সেবন করাইবেন । তাহাতে হজমশক্তিও যেমন বাড়িবে, ভবিষ্যতে যকৃৎ ও প্লীহার ও কোন দোষ ঘটিতে পরিবে না । ডিসপেপসিয়ার ঔষধ। - f ($32{{s--|/۰ || f۲ | ه /||||||||-||-||۶||۲۶||۶|F হরিতকী-ly০ । আমলকী-ly০ ৷ শতমূলী-ly০ ৷৷ প্রত্যেক দ্রব্য সমভাগে লইয়া অৰ্দ্ধ সের জলে মৃদু সন্তাপে সিদ্ধ করিয়া অৰ্দ্ধ পোয়া থাকিতে নামাইবে । প্রাতে ও সায়াহ্নে এক ছটাক করিয়া সেবন । ২১ দিন সেবন করিলে যদি পেট নরম হয়, তাহা হইলে জাঙ্গিহরিতকী । ৩ মাত্রা দিবে। পথ্য-পুরাতন চাউলের অন্ন, শলকপূর্ণ ছোট মাছের ঝোল, পলতার ঝোল, মোচা, পেঁপের ডালনা, কঁচকলা, থোড় ও ডুমুর, স্মৃতি (বিশুদ্ধ হওয়া চাই), অল্প পরিমাণে ব্যবহার করিতে পারেন । অল্প পরিমাণে গরম দুগ্ধও সেবন করিতে পারেন। ঘূতপক দ্রব্য ভক্ষণ নিষেধ। পুরাতন তেঁতুল, দধি, ঘোল, পাতিলেবু, পেঁপে, ইক্ষু, কলা, কমললেবু, ডালিম, আঙ্গুর, পেয়ারা খাইতে পারেন। দিবানিদ্রা ও লঙ্কার কাল নিষিদ্ধ। হরিতকীযোগ । কোষ্ঠকাঠিন্য, অনিয়মিত কোষ্ঠ, বিবমিষা প্রভৃতি অবস্থায় হরিতকীযোগ সেবন করিবে । প্রস্তুত করিবার নিয়ম :-জাঙ্গিহরিতকী আধ সেরা পরিমিত দধিতে সাত দিন ভিজাইয়া রাখিৰে । পরে গরুর চোনায় সাত দিন রাখিবো। তারপর তুলিয়া বেশ করিয়া রৌদ্রে শুষ্ক করিবে। বেশ শুকাইয়া গেলে গব্যান্বতে ভজিবে এবং চুর্ণ করিবে। ঐ চূর্ণ সিকিমাত্রায় আহারের পর মিছরিচুর্ণসহ সেবন করিয়া . কিঞ্চিৎ শীতল জল পান করিবে। উহাতে শরীরের সর্ব • প্রকার গ্লানি দূর হইবে এবং দান্ত নিয়মিতরূপে হইবে। ” এই-হরিতকীযোগের দ্বারা আমপিত্ত্বেও যথেষ্ট উপকার দর্শিবোঁ ।