পাতা:অনাথবন্ধু.pdf/৬৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম খণ্ড-নবম সংখ্যা । ] As se আমি পূর্ব্ব পরিচ্ছেদে আমার বিশ্বাসভাজন বন্ধর কথা যাহা বলিয়াছি এবং ইসেন্মনিবাসী রেভারে গু মথিফুষ্টসম্বন্ধে যে ঘটনা বিবৃত করিয়াছি, তাহাকে ঐ রূপ জাগ্রত-স্বপ্নের পর্যায়ে ফেলিলে ভুল করা হয়। কারণ फ्रेंत्रांत প্রত্যেকের সহিত একটা বাস্তব ঘটনা অতি বিস্ময়করভাবে জড়িত রহিয়াছে। বাস্তব ঘটনার সহিত এরূপ বিস্ময়কর সম্বন্ধকে ohance ("oin("ialoin('() বলা সঙ্গত কি না, তাহাই বিচাৰ্মা । যাহা द९ ঘটে, তাহাকে chance coincidencio द? যাইতে পারে। কিন্তু এরূপ ঘটনা নিতান্ত বিরল নহে । দুই একটি ঘটনা এমনই ঘটিয়া থাকে যে, তাহাক আর দৈবাৎ মিল বলিবার উপায় নাই ৷ এক ব্যক্তি পুলের ব্যবহারে নিতান্ত মনের কষ্টে উদ্বন্ধনে প্রাণত্যাগ করেন । তিনি রাত্রিকালেই গলায় দড়ি দিয়া মরিয়াছিলেন । তাতার পুত্র তখন সেই স্থান তইতে বহুশত মাইল দরে ছিলেন। যে রাত্রিতে তাহার পিতা গলায় দড়ি দিয়াছিলেন, সেই নিশাতেই পুলের ঘুম ভাঙ্গিয়া যাওয়াতে তিনি বাহিলে আইসেন। গৃহের দ্বার খুলিয়াই দেখিলেন যে, সম্মুখে তঁাচার পিতার বিবর্ণমন্ত্রি ও তাহার গলায় দড়ি । দেখিয়াই তিনি ভয়ে মূচ্ছি ত হইয়া পড়িয়া যান। বাড়ীতে অনেক লোক ছিল । তঁাহারা সকলেই সেই স্থানে উপস্থিত হঠলেন । মাথায় জল ঢালিয়া অনেক কষ্টে তাঙ্গার চৈতন্যসম্পাদন করা হয়। তখন তিনি সমস্ত বিবরণ বিবৃত করেন। তাহার দুই তিন দিন পরে তিনি বারাণসী হুইতে ংবাদ পাইলেন যে, তঁাচার পিতা গলায় দড়ি দিয়া সেই রাত্রিতেই দেহত্যাগ করিয়াছেন । যে রাত্রিতে পিতার মৃত্যু হইয়াছিল, ঠিক সেই রাত্রিতেই পুলের জাগ্রত অবস্থায় পিতৃমূর্ত্তি স্বপ্নে দেখা না হয় তর্কের খাতিরে দৈবাৎ মিল দলিয়া ধরিয়া লইলাম। কিন্তু গলায় দড়ি পর্যন্ত দেখা ও কি দৈবাং মিল ধরিয়া লইতে হইবে ? এরূপভাবে দৈবাৎ মিল ধরা কি সঙ্গত ? এরূপ মিলকে বিস্ময়কর মিল বলিলে সত্যকে চাপা দেওয়া হয়। প্রথম পরিচ্ছেদে আমি যে বন্ধর কথা বলিয়াছি, তাহাও অনেকটা ঐরূপ বিস্ময়কর। পাদ্রী মথিফষ্ট নিজেই বলিয়াছেন, “মৃত্যুর পর অনেকে আত্মীয়-বান্ধবকে দেখা দেয়, একথা তিনি শুনিয়াছিলেন, কিন্তু বিশ্বাস করেন নাই। সুতরাং এরূপ ঘটনা নিতান্ত বিরল নহে । যাঙ্গা বিরল নহে, তাহাকে কখনই দৈবাৎ ঘটনা বলা চলে না ।” মানুষের মনে যে ভ্রান্তি জন্মে, মানুষ যে জাগ্রত অবস্থায় স্বপ্ন দেখে, একথা সত্য। পূর্ব্বে ডাক্তাররা মনে করিতেন যে, উন্মাদরোগগ্রস্ত, নেশাখোর অথবা পীড়িত লোকেরই ভ্রান্তি জন্মে। কিন্তু ইদানীং জানা যাইতেছে যে, সে ধারণা ঠিক নহে। আমরা যাহাদিগকে সচরাচর প্রকৃতিস্থ বলি, যাহারা সংসারের সাধারণ কার্য্য করিয়া থাকে, তাহাদের মধ্যেও অনেকে এইরূপ ভ্রান্তির অধীন। কতকগুলি লোক [» >v পরলোকের কথা । ୫୯୬ଳ 4V আছে, তাহদের মনে হয় যেন কে তাহাদিগকে ডাকিতেছে, কে যেন তাহদের পাশ দিয়া চলিয়া যাইতেছে ; কেহ বা হঠাৎ যেন কোনরূপ গন্ধ পাইল, এইরূপ মনে করে । অধিকাংশ লোকের দর্শনেন্দিয়সম্পর্কে বি লিম জন্মে । যাচাদের দর্শনেন্দিয়সম্বন্ধে বিভ্রম ঘটে, অর্থাৎ সেখানে যে বস্তু DDDSBDDBBB DDD DD DDDB BBD DBDB BBSBBS BDBDBSBDB মধ্যে আবার অনেকে লান্তির ফলে মানুষই দেখিয়া থাকে । সুস্থ মানুষের এই মগজের রোগ বা দৃষ্টিবিলম ঠদানীং পরা পড়িতেছে। এই রোগ কোন জাতির মধ্যে কত দূর বিস্তুত, তাঙ্গা এখন ও নির্ণীত হয় নাই । তবে এটাক সত্য যে, পুরুষ অপেক্ষা স্বালোকদিগের মধ্যে এই রোগ অধিক হইয়! থাকে। হিষ্টিরিয়াগ্রস্ত বা সামান্য একটু হিষ্টিরিয়ার ঝোক আছে, এমন স্ট্রীলোকের ভিতর এই রোগের খুব প্রাবল্য দেখা যায় । আবার পুরুষ অপেক্ষা মেয়েদের মধ্যে প্রেতাত্মাদর্শকের সংখ্যা অধিক। সুতরাং যদি লোক দৃষ্টিবিভ্রমের অধীন হয়, তাহা হইলে তাহাদের দৃষ্ট ভ্রান্তি দৈবযোগে বাস্তব্যের সহিত মিলিয়া যায়। যে লোক প্রায়ই স্বপ্ন দেখে, তাতার দুই একটা স্বপ্ন যে খাটিয়া যাইবে, তাহাতে বিস্ময়ের বিষয় কি আছে ? নিদিত ও জাগ্রত অবস্থায় মানুষ কেন স্বপ্ন দেখে, য়ুরোপীয় মনস্তত্ত্ববিৎ পণ্ডিতরা সে বিষয় লইয়া অনেক আলোচনা করিয়াছেন । সঙ্গে সঙ্গে মানুষের স্মৃতি কেন থাকে, সে কথার ও আলোচনা হইতেছে । প্রেতিতত্ত্বের আলোচনার সহিত এই বিষয়টি যখন বিশেষভাবে বিজড়িত, তখন এইখানে সংক্ষেপে তাতার একটু আভাস দেওয কীর্ত্তব্য । কারণ এই প্রসঙ্গে যত কথা উপস্থাপিত করা হইয়াছে, যা ত প্রকার ব্যাখা প্রদীপ্ত হইয়াছে, অন্ততঃ তাহার প্রধান প্রধান কথার আলোচনা করা উচিত । একদল পণ্ডিত আছেন, তাহারা বলেন,-প্রেতা দ্বাদর্শন মানসী পান্তির ফল । যে কারণে মানুষ স্বপ্ন দেখে, সেই কারণেই জাগ্রত স্বপ্ন দেখে । মনস্তত্ত্ববিৎ পণ্ডিতরা স্থিল করিয়াছেন যে, মানুষের মগজে তিন হাজার কোটা কেন্য SSS DBSHSS KBDBB DD DBuDDB BuDuu DDSDDB প্রত্যেকটির একটি করিয়া দাগ ঐ কোষে পতিত হয় । আমরা যাঙ্গা দেখি, শুনি বা অন্য প্রকারে অনুভব করি, তাঙ্গার প্রত্যেকটির এক একটি করিয়া দাগ (iii) re'ssic উহার একটি না একটি কোষে পড়িবেই পড়িবে। সখন সেই দাগ পড়া কোন কোষ কোন কারণে উদ্দীপ্ত বা উত্তেজিত হইয়া উঠে, তখন সেই সঙ্গে সঙ্গেই সেই ইন্দ্রিয়জ অনুভূতিরই পুনরাভিনয় চয় । মনে করুন, আমি দশ বৎসর পূর্লে বিমলকে দেখিয়াছি। তাহার চেঙ্গারার দাগ আমার মগজের একটা কোনো পড়িয়াছে । যখন কোন কারণে সেই কোষটি উত্তেজিত হইবে, তখনই বিমলের কথা ও চেহারা আশার মনে পড়িবে । ঐ কোষ যদি কোন কারণে saio