পাতা:অনুবর্তন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YObr অনুবর্তন বড় খুকী এই সময়ে বলিল-বাবা, আমার জন্যে একটা পেন্সিল কিনে qनl-श्यांभांद्र c°श्लिल ८नझे । অনিলা বলিল-পেন্সিল আমার কাছে আছে, দেবো এখন। মনে করে দিস কাল সকালে। ক্ষেত্রবাবু মাসখানেক হইল, নতুন বাসায় উঠিয়া আসিয়া নতুন সংসার DBDBBBS DBD BBBB DBS DDDDD DBDD BB DDBDBY বড় কষ্ট গিয়াছিল, এখন আবার একটু সেবাযত্বের মুখ দেখিতেছেন। চিরকাল সুগ্রী লইয়া সংসার-ধর্ম্ম করায় অভ্যস্ত, স্ত্রীবিয়োগের পর সব যেন ফাকা ফাক ঠেকিত । অসুবিধাও ছিল বিস্তর, আট বছরের খুকীকে গৃহিণী সাজিতে হইয়াছিল, কিন্তু খুকী যতই প্রাণপণে চেষ্টা করুক, অনভিজ্ঞ শিশু মেয়ে কি তার মায়ের স্থান পুর্ণ করিতে পারে ? আবার সংসারে আয়না চিরুণীর দরকার হইতেছে, সিঁদুর কিনিতে হইতেছে-স্নো পাউডার কিনিবাবু প্রয়ােজন তো আসিয়া পড়িল। চিরকাল ষে গরুর কাধে জোয়াল, ছাড়া পাইলে অনভ্যস্ত মুক্তির অভিজ্ঞতা তাহাকে ব্যাকুল করিয়া তোলে। মনে হয়, সংসার হইল না, কাহার জন্য খাটিয়া মরিবি, কে আমার অসুখ হইলে মুখে একটু জল দিবে-ইত্যাদি। যে বলিষ্ঠ ও শক্তিমান মন মুক্তির পরিপুর্ণতাকে ভোগ করিতে পারে, নির্জনতার ও উদাস মনোভাবের মধ্য দিয়া জীবনে নব নব দর্শন ও অনুভূতিরাজির সম্মুখীন হয়নিরীহ স্কুল মাষ্টার ক্ষেত্রবাবুর মন সে ধরণের নয়। কিন্তু না হইলে কি হয় ? যে ভাবে যে জীবনকে ভোগ করিতে পারে, সেই ভাবেই জীবন তাহার নিকট ধরা দেয়-ইহাতেই তাহার সার্থকতা । বাধা-ধরা নিয়ম কি-ই বা আছে জীবনকে ভোগ করিবার ? ক্ষেত্রবাবু ছাত্রদের একতালা কুঠুরীর অন্ধকূপে গিয়া ভীষণ গরমের মধ্যে পাখার তলায় অবসন্ন দেহ একখানা ইংরাজি ডিকসনারির উপর এলাইয়া দিয়া পড়ানো সুরু করিলেন । আগে বেশ সময় কাটিত এখানে । এখন মনে হয়, অনিলার সঙ্গে গিয়া কতক্ষণে দু-দণ্ড কথা বলিবেন । ছাত্রও ছাড়ে না, এটা বুঝাইয়া দিন, ওটা বুঝাইয়া দিন, করিতে করিতে রাত সাড়ে ন’টা বাজাইয়া