পাতা:অনুবর্তন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনুবার্ত্তন৷৷ ووا দেখিতে পাইলেন। আর অগ্রসর না হইয়া দাড়াইলেন, কিছু বাধিয়া ঠোকর बीईश्व १छिभ्रां मां भiन । ক্ষীণ স্বর চি চি করিয়া বলিল-ওই জানলার ওপরটাতে বসুন-ওরে একটা কিছু পেতে দে না ও রাধু -থাক থাক, পেতে দিতে হবে না-আপনার কি হয়েছে ? --আর কি হবে।--জ্বর আর কাসি আজ পনেরো দিন । পড়ে আছি। উখানশক্তি রহিত --তাই তো দেখতে পাচ্ছি। বড় কষ্ট পাচ্ছেন তো ! এইবার ক্ষেত্রবাবুঘরের ভিতরটা বেশ স্পষ্ট দেখিতে পাইলেন। ওই যে রাখালবাবু তাকিয়া ঠেস দিয়া মলিন বিছানায় কাৎ হইয়া আছেন, পাশে একটা ততোধিক মলিন লেপ, বিছানার এক পাশে দড়ির আলনাতে দু-চারখানা ময়লা ও আধ্যময়লা কাপড় ঝুলিতেছে-বিছানার সামনে একটা তাক, তাকের ওপর অনেক বই 'কাগজ। এক পাশে একটা হারিকেন লণ্ঠন ৷ দেওয়ালে কয়েকখানি সন্তা ধরণের ক্যালেণ্ডার-বিভিন্ন পাঠ্য পুস্তক বিক্রেতাদের নাম ও বিজ্ঞাপন ছাপানে। ঘরের ও আসবাবপত্রের বীভৎস দারিদ্র্যে গল্পীৰ স্কুল মাষ্টার ক্ষেত্রবাবুও যেন শিহরিয়া উঠিলেন। --কতদিন অসুখ বলেন ? -ड अस्त्रि मि-*igनह --কেউ দেখছে ? --না, দেখেনি। পয়সা নেই, সত্যি কথা বলতে কি ক্ষেত্রবাবু, আজি তিন দিন ঘরে এক পয়সাও নেই। ছেলেকে পাঠিয়েছিলাম রাধাকৃষ্ণ করা এণ্ড সন্সের দোকানে। আমার সেই--সেই--সেই-( রাখালবাবু একটু ইাপ জিরাইলেন) রচনার বইখানা দশ কপি পাঠিয়ে দিয়ে-একখানা চিঠি লিখে দিলাম, বলি-এখন বইগুলো রেখে দাম দাও- আমি পয়ত্রিশ পার্সেন্ট কমিশন দেবে-এখন আমার হাতে বডড টানাটানি যাচ্ছে-ত ব্যাটার বই ফেরৎ দিয়েছে। ও বই নাকি কম বিক্রী-ও এখন বিক্রী হবে না। আপনি তো জানেন, চেৎলা স্কুলের হেডমাষ্টার-নব ব্যাকরণ-সুধা প্রথম ভাগ