বাঁচাইবার ইচ্ছায় দেওয়ালের দিকে পিঠ ফিরাইয়া দাঁড়াইয়াছিল।
১৪
মুসার আইনে এবং প্রথম খৃষ্টীয় যুগে সুদ লওয়ার বিরুদ্ধে অতি বদ্ধমূল আপত্তি ছিল। তখনকার দিনের শিল্প ও উৎপন্ন দ্রব্যাদি অতিশয় সাদাসিধা ধরণের ছিল বলিয়াই প্রতীয়মান হয় এবং তাহাদের নির্ম্মাণ ব্যাপারে ধারে কারবারের প্রয়োজন ছিল না। যাহা কিছু ধারে দেওয়া হইত, তাহা কেবল সদ্য ব্যবহার এবং দুঃখ-লাঘব করিবার জন্যই। এই কারণেই এই ধারণার উৎপত্তি হইয়াছিল যে, যে কেহ অপরের দুঃখ-ক্লেশে লাভবান্ হয়, সে নিন্দনীয়। এমন কি, গ্রীক্ ও রোমীয় দার্শনিকগণও কোনো সঙ্গত কারণ না দেখাইয়াই উচ্চকণ্ঠে সুদ গ্রহণ করার নিন্দা করিয়াছিলেন। কিন্তু গ্রীক্ ও রোমীয় আইনে সুদ-গ্রহণে সন্মতি দেওয়া হইয়াছিল, এবং মধ্যযুগ পর্য্যন্ত যতদিন না। খৃষ্টীয় সঙ্ঘ ইহার বিরুদ্ধে ধর্ম্মযুদ্ধ ঘোষণা করেন, তাবৎকাল ইহা সাধারণতঃ গ্রাহ্যই ছিল।
১৫
ধনুষ্কোডি হইতে যে “থ্রু” প্যাসেঞ্জার ট্রেন মাদ্রাজের অভিমুখে গত কল্য রওনা হইয়াছিল, তাহা রাত্রে যথানিয়মে তিরুপুবনম পার হইয়াছিল, কিন্তু সেই ষ্টেশনের প্রায়