অনুসন্ধান
ইন্দুভূষণ। সুন্দর চেহারা। নারাণবাবুকে এগিয়ে এসে ক্লাসে নিয়ে যায়। ক্লাসে ছেলেদের ভিড়। নারাণবাবুকে সবাই ভালবাসে। পছন্দ করে, ভয়ও করে। ক্লাস চুপ হয়ে যায়-একবার মৃদু ভৎসনায়। অঙ্ক কষান, বোর্ডে খড়ি দিয়ে।
ইন্দুভূষণ বলে-অঙ্ক কষার পরে সেই গল্পটা বলুন স্যার।
সব ছেলে সায় দেয়। নারাণবাবু বলেন, জানলাগুলো খুলে দাও, দেখো তো কেমন সুন্দর। মাঠ, গাছপালা ভগবানের তৈরি সুন্দর পৃথিবীকে চোখ ভরে দেখতে শেখো। শুধু বইয়ের পড়া পড়লে মানুষ হবে না। চোখের দৃষ্টি ফুটুক।
ইন্দুভূষণ বলে-ঐ দেখুন বাঁশঝাড়ের আকাশটা কেমন ময়ুর-কষ্টি রং। নদীর ওপারে কি রকম কাশফুল ফুটেচে। নারাণবাবুর মন আনন্দে ভরে ওঠে। এই একটি ছেলেকে তিনি অন্ততঃ দৃষ্টিদান করতে পারবেন হয় তো। ইন্দুভূষণ স্কুল ম্যাগাজিনের জন্যে লেখা-নিজের রচনা পড়ে শোনাচ্ছে, এমন সময়ে হেড মাস্টার দোরের বাইরে দাড়িয়ে কড়া নজরে এক চমক ক্লাস রুমের দিকে চাইলেন। ইন্দুভূষণের পড়া বন্ধ হয়ে গেল। নারাণবাবু থতমত খেয়ে গেলেন।
8