বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:অনুসন্ধান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সান্ত্বনা

বৃদ্ধের চোখ দুটো গৌরবে দীপ্ত হয়ে ওঠে। আপন মনেই বলেন—যখন তার জন্ম হল, তখন দেখতে এই একেবারে এতটুকু—ফুলপুরের পাঁচু ঠাকুরের দোর ধরে তার মা তাকে বাঁচায়। যখন ছ-বছরের একবার বিছে কামড়াতে একেবারে নীল হয়ে গেল—অনেক কষ্টে বাঁচানো হয়—অনেক ঝামেলার মধ্যে দিয়ে বড় করে তুলতে হয়েচে—তবেই না সে আজ ‘বড়সাহেব’ নৃপেন হয়েচে।··· তুমি, এদিকে এসে বোস বৌমা, আমি ততক্ষণ পরোটাগুলো ভাজি।

একটা মাটির ভাঁড় থেকে তিনি আধ ছটাকের মত ঘি বের করে নিলেন। পাত্রটা দেখিয়ে বললেন—এ হল দালদা, বেশ ভাল জিনিস কি করে পাই, বল?··· ঘিয়ের সের ন-টাকা।

—কেন, আপনার ছেলে কিছু পাঠায় না?

বৃদ্ধ বললেন—কে নৃপেন? তার নিজের খরচা কত! আয়ও যেমন—ব্যয়ও তো তেমনি। আমি তাকে বিরক্ত করতেও চাই নে। আমার নিজের প্রায় তিন বিঘে ধানী জমি আছে, নিজের হাতে শাক-সবজি ফলাই। পুজোতে নৃপেন আমাকে একটা দামী কাপড় পাঠিয়েছিল—তুলে রেখেচি। মাঝে মাঝে দেখি আর বলি তাহলে সে পাঠিয়েচে ধুতিটা,···আমারই বড় ছেলে দিয়েচে। ছোট

৯৬