বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:অনুসন্ধান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

অনুসন্ধান

পাশের বাড়ির গাঙ্গুলি-বৌ ও শুভদা ঠাকরুনের কাছে সংসারের দুঃখকষ্টের কথা বলেন। শুভদা এসেচেন তেল ধার নিতে। গরীব বিধবা। মনোরমা যেটুকু তেল আছে, তার বেশি অংশটা শুভদাকে ঢেলে দিলেন। স্বামীর কথা বলেন ওঁদের কাছে।

এমন লোক যদি দেখে থাকি কখনো পিসি। সংসারের দকে নজর নেই; কোনো দিকে নজর নেই। কি নিয়ে যে লোকটা থাকে দিনরাত! মেয়েটার ওই কষ্ট, তখুনি বলেছিলাম দোরের কাছে কুটুম্ব করতে নেই। দু-বেলা কথা শুনতে হবে, তখন তা শুনলেন না। এখন তাই হচ্ছে, যা বলেছিলাম।

শুভদা ঠাকরুন বললেন-শাশুড়ী খারাপ না হয় বুঝলাম। কিন্তু জামাই তো শুনেচি বড় ভালো ছেলে?

-ভালো হোলে কি হবে পিসি, মায়ের কাছে জুজু। মার সামনে কথা বলতে পারে ছেলে? উনি বলেন, মায়ের বাধ্য হয়েই থাকা ছেলের উচিত। বললাম যে, কোনোদিকে নজর নেই ওঁর-চাল নেই, তেল নেই, আজ বাদে কাল সকালে কি হবে ঠিক নেই— —কে শুনচে সে সব কথা। ছাত্রদের নিয়েই ব্যস্ত। কেউ এক পয়সা দেবে না, ভূতের ব্যাগার খেটেই খুসি। আচ্ছা, বলো তো পিসি, এ কি রকম কাণ্ড?