অনুসন্ধান
—কেমন আছে সে? এতক্ষণ সেখানে ছিলি? কি খেতে দিলে?
—কিছুই না। ঘণ্টাকর্ণ। দাও চিঁড়েভাজা— দিদি ভালো আছে।
—না—না। এ ওঁর জন্যে ঘি দিয়ে ভাজা। তোকে এর পরে দেবো এখন। বোসো গে যাও।
নারাণ মাস্টার চিঁড়ে ভাজা খেতে খেতে স্ত্রীর সঙ্গে গল্প করেন।
মনোরমা বলেন—ননী এই এল অমলার শ্বশুর বাড়ি থেকে। অনেকক্ষণ ছিল সেখানে। অমলা ভাল আছে।
নারাণ মাস্টার স্ত্রীর মুখের দিকে চেয়ে বললেন—কে বললে এ সব কথা?
—কেন ননী বললে, আবার কে বলবে। সে এই তো এল ওর দিদির বাড়ি থেকে। রান্নাঘরে বসে খাবার খাচ্ছে।
নারাণ মাস্টার একবার ভাবলেন স্ত্রীকে ছেলের গুণের কথা সব খুলে বলেন। তার উপদেশ সত্ত্বেও সে আবার তার মায়ের কাছে মিথ্যে কথা বলেচে। কিন্তু সরলা পত্নীর মুখের দিকে চেয়ে নারাণ মাস্টার কথা চেপে গেলেন।
বাইরে থেকে ছেলেরা ডাক দিলে-বাড়ি আছেন স্যার? ছেলেরা পড়তে এসেচে। ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। নারাণ মাস্টার।
১০