অনুসন্ধান
নারাণবাবুর মেয়ে অমলার শ্বশুর বাড়ি। অমলার শাশুড়ী তার ওপর অত্যন্ত কুব্যবহার করে। ছেলে সুকুমারের সঙ্গে অমলার দেখা সাক্ষাৎ বন্ধ। অমলা সেজেগুজে জানলায় বসে আছে—আজ স্বামী কলকাতা থেকে আসবে অনেকদিন পরে ৷
শাশুড়ী এসে বলেন—বলি, হ্যাঁগা বৌমা, বিকেলে ঝাঁট নেই, পাট নেই—দোরে জল দেওয়া নেই—অমন পটের বিবি সেজে জানলায় বসে রয়েছ কেন? সে গুড়ে বালি। সুকু আজ আসবে না চিঠি লিখেচে। তুমি উঠে গিয়ে ছাদ থেকে কাপড়গুলো নিয়ে এসো আর এ বেলার ভাত চড়িয়ে দাও গে।
অমলা সলজ্জ মুখে উঠে গেল রান্নাঘরে। তার মন ভেঙে গিয়েছে। স্বামী সে কথা তো গতবার বলে যান নি? শাশুড়ী মিথ্যে কথা বলেছিলেন।
সন্ধ্যার ট্রেনে সুকুমার এল। অমলার জন্যে শাড়ি নিয়ে— নিজে আহলাদ করে দেখাতে গেল। মা কাপড়খানা ছিনিয়ে নেন ছেলের হাত থেকে। বলেন—এ আমার পাঁচীর সাধের সময় তাকে দেবো। বৌয়ের জন্যে আর রোজ রোজ কাপড় আনতে হবে না। যে গুণধর বৌ। সংসারের কুটোটুকু ছ-খানা করে উপকার নেই। সারা বিকেল